জামিনে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউয়ের কার্ডিওলজিস্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইউনিট প্রধান ডা. মো. রসুল আমিন (শিপন)।

তিনি বলেন, যেহেতু সম্রাট জামিনে মুক্ত হয়েছেন, সেহেতু চাইলে তিনি অন্য হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা নিতে পারেন। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এখন তো তার জামিন হয়েছে। এ মুহূর্তে আমাদের পরামর্শ হলো চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া। এখন তিনি পরবর্তী চিকিৎসা কোথায় করবেন, হাসপাতাল ছাড়তে চান কি না, সেই সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নেবেন।

সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার হার্টের রোগ। এটা নিয়ে আসলে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। সম্রাটের হার্ট-রেটটা মাঝেমধ্যেই বেড়ে যায়। এমনও হয়েছে রাত তিনটায় বেড়েছে। এঅবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না নিলে যেকোনো ধরনের অঘটন ঘটে যেতে পারে। এখন সামনের দিনে এই হার্ট রেট বাড়তেও পারে আবার নাও বাড়তে পারে।

নতুন করে তার চিকিৎসায় কোনো চিকিৎসা বোর্ড হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনো বোর্ড হয়নি। তবে এর আগে অনেক বোর্ড গঠন হয়েছে। তাদের রিকমেন্ডেশন ছিল, যেই চিকিৎসা চলছে সেটিই চলতে থাকবে। সেক্ষেত্রে চাইলে আমাদের হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে পারেন অথবা অন্য কোথাও।

এর আগে চার মামলায় জামিন পাওয়ায় এখন তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। 

গ্রেপ্তার হওয়ার পর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাতে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ১১ মের মধ্যে চার মামলায় জামিন পান সম্রাট। কারাগারে যাওয়ার ৩১ মাস পর মুক্তি মেলে তার। তবে এক সপ্তাহ পর ১৮ মে হাইকোর্ট জামিন বাতিল করে তাকে আবার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিলে আবার তার বন্দিজীবন শুরু হয়।

টিআই/এসএম