এবার গ্রাম পর্যায়ে বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল থেকে গ্রাম পর্যায়ে বিএনপির আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেই আন্দোলনে মানুষ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। হত্যা, গুম, নির্যাতনের পরও বিএনপিকে দমাতে ব্যর্থ হওয়ায় শেখ হাসিনার সরকারের বড় ক্ষোভের জায়গা।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। গত ৯ বছরে গুম, খুনের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ১৪ পরিবারকে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি ও আর্থিক অনুদান দেয় জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের উদ্যোগে।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা জেগে উঠছি, সবাইকে জেগে উঠতে হবে, নেতাকর্মীদের ত্যাগ ও অশ্রু বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে ভয়াবহ এই দানবীয় সরকারকে হটাতে হবে। দানব সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

দেশের উন্নয়ন নয়, জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভরিয়েছে সরকার— এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই অনির্বাচিত দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দলের গুম, খুন, নির্যাতনের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা হবে।

খালেদা জিয়াকে সামলাতে পারবে না বলেই বিদেশে যেত দিচ্ছে না
গণতন্ত্র চায় এমন মানুষ এই দেশে এখন কেউ নিরাপদ নয় বলে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়া এ মুহূর্তে কারাগারে অন্তরীণ না হলেও গৃহ অন্তরীণ রয়েছেন। গতকালও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়েছে। চিকিৎসকরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা বললেও সরকার অনুমতি দেয়নি, দিচ্ছে না।

‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না কারণ এ সরকারের ভয় তিনি বের হলে তাকে সামাল দিতে পারবে না’ —দাবি করেন মির্জা ফখরুল।  

অনুষ্ঠানে ভোলা জেলার নুর আলম, আব্দুর রহিম, নুরুল আলম নুরু, মো. সুমন ইসলাম, মো. লিখন খান, অমিত হাসান, আল আমিন, মনির হোসেন, সানাউল্লাহ, ফেনী জেলার আবুল কালাম, জামশেদ আলম, হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রামের ইয়ামিন আরাফাত, নেত্রকোণার মন্জুরুল হক মঞ্জু পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অর্থ সহায়তা তুলে দেন মির্জা ফখরুল।

এএইচআর/এসএম