১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশে যাই করতে হবে সংবিধান অনুযায়ী করতে হবে। কোনো একটি দলকে আনুকূল্য দিয়ে সংবিধানকে বাইপাস করে নির্বাচনে আনতে হবে, এমনটি সম্ভব না। তার মানে এই না যে, একটি দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন হবে না, এমন তো হতে পারে না।

তিনি বলেন, আজ যারা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, এগুলো কাদের সৃষ্টি? আপনারা খোঁজ নেন। এই যে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, মালিক শ্রেণি— এরা কারা? এরা বিরোধী শক্তি। কিন্তু সরকারের উচিত এদের কঠোরভাবে দমন করা।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, আজ বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে বারবার। তারা কীভাবে বলে এ কথা? ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়াই এটা বাদ দিয়েছিল। ১৫ই আগস্ট কেন সংগঠিত হয়েছিল? এটা সংগঠিত হওয়ার কারণেই আমরা যেসব অসুবিধা ভোগ করছি, এগুলো সব সেদিনকার ফসল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যারা এ দেশে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এসেই জাতীয় চার মূলনীতি ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষ সুখে-শান্তিতে রয়েছে : নানক

১৪ দলের এ সমন্বয়ক বলেন, এই দেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা, ভোটের নামে হ্যাঁ-না যে দিন শুরু হলো, সে দিন থেকেই ভোটের কারচুপি এবং স্লোগান উঠেছিল ‘এক হুন্ডা দুই গুন্ডা এক স্টেনগান ভোট ঠান্ডা’। জিয়াউর রহমান যে তখন ক্ষমতায় এসেছিল সেটা অবৈধভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে নয়।

আমু বলেন, আজ যারা বড় বড় কথা বলছেন, ভোট ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের সামনে না গিয়ে বাইরে যারা বিবৃতি দিচ্ছেন, তাদের চেহারাগুলো আয়নায় দেখেই বলতে পারছেন। যারা ১২ দিন ভোট কারচুপি করে, হাইজ্যাক করেছিল তারাই আজ বড় বড় কথা বলে। যারা আজ গুম হত্যার কথা বলে, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত জোট যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড এবং নারী নির্যাতন করেছিল, সেটা শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ ছিল না বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, যারা এসব করেছিল তারাই আজ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার কাছে যাচ্ছে, অথচ সেদিন তাদের সংগঠিত বর্বরোচিত চিত্র এ দেশকে কলুষিত করেছে। সংবিধানের ভিত্তিতেই এ দেশ পরিচালিত হচ্ছে এবং সংবিধান বিরোধী কোনো কাজ করার ক্ষমতা সরকারের নেই।

১৪ দলের এ সমন্বয়ক বলেন, আমি মনে করি, আজ এ দেশের গণতন্ত্রের ধারা, উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা সেটি রক্ষার্থে শেখ হাসিনাকে আবার নির্বাচিত করা উচিত।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী কমরেড দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডা. শহীদুল্লাহসহ ১৪ দলের নেতারা। 

আইবি/এসএসএইচ