থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থাতেই জাতীয় পার্টির কাউন্সিল আহ্বান করেছেন রওশন এরশাদ। যদিও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের।

রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী ২৬ নভেম্বর জাপার দশম কাউন্সিল অধিবেশন ডেকেছেন রওশন এরশাদ। সেই উপলক্ষে গঠিত কমিটিতে রওশন এরশাদ নিজেকে আহ্বায়ক করে জাতীয় পার্টির আট সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছেন। ওই কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে আমাকে।

রওশন এরশাদের কাউন্সিল আহ্বান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমাকে কিছু জানানোও হয়নি। দলের কাউন্সিল আহ্বান করার কোনো এখতিয়ার তার (রওশন এরশাদ) নেই।

তবে গোলাম মসীহ ঢাকা পোস্টের কাছে দাবি করেন, জি এম কাদেরকে জানিয়েই কাউন্সিল ডেকেছেন রওশন এরশাদ।

তাহলে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন বর্তমান জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কী হবে- জানতে চাইলে গোলাম মসীহ বলেন, বর্তমান কমিটি কাউন্সিল না হওয়ার আগ পর্যন্ত থাকবে। আর কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত আহ্বায়ক কমিটি প্রস্তুতি নেবে।

কাউন্সিল আহ্বানের চিঠিতে রওশন এরশাদ বলেন, আমি বেগম রওশন এরশাদ (এমপি) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পার্টির দশম কাউন্সিল আহ্বান করছি। এ কাউন্সিল ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর (শনিবার) সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হবে। 

তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এ সময় আমি লক্ষ্য করি, জাতীয় পার্টির গঠনতান্ত্রিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, নিয়মাবলি এবং পার্টির মূল আদর্শ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। বর্তমানে পার্টি আদর্শ, নিয়ম ও নীতিমালা থেকে সরে গিয়ে ভ্রান্তপথে অগ্রসর হচ্ছে।

২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি দেশের  সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা সংরক্ষণ ও দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখেছে বলে দাবি করেন রওশন এরশাদ।

কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত কমিটিতে আরও আছেন- পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলা, মুজিবুল হক চুন্নু, সালমা ইসলাম।

এএইচআর/আরএইচ