বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। তার পক্ষে ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। তবে স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন বঙ্গবন্ধু। এটা মেনে নিতে পারছে না আওয়ামী লীগ।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর)  দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেজর হাফিজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধা ছিল ৯০ হাজার, আর এখন আড়াই লাখ। কোথায় থেকে এলো এত মুক্তিযোদ্ধা। যারা অমুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে তারাই মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করেছে। আওয়ামী লীগ করলেই যদি বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় তাহলে আমরা কেন জীবন দিয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান দিলে তারা সম্মান পাবে না বলেই ক্ষমতাসীনরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করতে এতো মুক্তিযোদ্ধা বাড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিবিদরা কাউকে সম্মান করে না। সবাই নিজের দলকে বড় মনে করে। একাত্তরের যুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। এখন বলা হয়, একজন নেতা ঘোষণা দিয়েছেন আর যুদ্ধ হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের কষ্টের কথা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। 

মেজর হাফিজ বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হোক কোনো নেতা বলেনি। সবাই ছয় দফার কথা বলেছে। এক দফার স্বাধীনতার কথা আ.লীগও বলেনি। এক বছর আগে থেকে মওলানা ভাসানী বলেছেন স্বাধীনতার কথা।

‘দেশকে স্বাধীন করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এদেশের যত লুটপাট করেছে রাজনীতিবিদরা, মুক্তিযোদ্ধারা করেনি। ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ পরাজিত হতে শুরু করে। যারা জীবন বিপন্ন করে যুদ্ধ করেছেন তাদের কৃতিত্ব দেওয়া হয় না। একজন রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য শুধু শোনানো হয়। রাজনীতিবিদরা মনে করে, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতিত্ব দিলে তারা ছোট হয়ে যাবে’ -বলেন মেজর হাফিজ।

তিনি আরও বলেন, আদালত এখন নীরবে-নিভৃতে কাঁদে। বাংলাদেশের মানুষের মতো এতো অসহায় কোনো জাতি নেই। আমাদের করণীয় হলো জনগণকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত করে স্বপ্নের দেশ গঠন করতে হবে। আমাদের সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা সরকারকে টেনে নামাতে চাই। সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নামতে চাই।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেজর (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীমসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

আইবি/এসএম