চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ফরম নেওয়ার সময় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) মোনাজাতে অংশ নেওয়া এবং তার দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। 

তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের মতো বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেছেন। যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে প্রজাতন্ত্রের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসুন। 

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের নাসিমন ভবন সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। 

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আজ এ ভোট ডাকাত সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি, গুম খুন নির্যাতনে সারাদেশের মানুষ অতিষ্ঠ। সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ যেখানে রাজপথে নেমে এসেছে, সেখানে একজন ডিসির এ ধরনের বক্তব্য কোনভাবেই কাম্য নয়। 

তিনি বলেন, শুধু ডিসি নয়, সরকারি আমলারাও রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলছেন। আমরা বলতে চাই, যে আমলা ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও যে পুলিশ সদস্যরা আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাষায় রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হয়েছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের কাছে আগামী দিনে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
 
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, অতীতের নির্বাচন কমিশনগুলোর মতো এ নির্বাচন কমিশনও এ অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ। এ কারণে কমিশন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচনী রোডম্যাপ ও ইভিএমে নির্বাচন করার ঘোষণা করেছে। 

তিনি বলেন, আমাদের স্পষ্ট কথা হলো, এ আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে, ইভিএম ব্যবহার করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এক তরফা ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন এই দেশের জনগণ হতে দেবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারই নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। 

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. সালাহউদ্দীনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, ছালাউদ্দীন, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, সরোয়ার আলমগীর, জসিম উদ্দীন সিকদার, আযম খান, অ্যাড. আবু তাহের, জসিম উদ্দীন চৌধুরী, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ। 

কেএম/আরএইচ