নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের প্রথম চোর। তারাই প্রথম ব্যালট বাক্স চুরি করেছে স্বাধীনতার পর।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর)  দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকায় আমরা এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। শেখ হাসিনাও এখন ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আছেন। এরশাদ স্বৈরাচার ছিলেন, তার চেয়ে বেশি স্বৈরাচার এই সরকার। এরশাদ, আইয়ুব খানও এভাবে উন্নয়নের গল্প শুনিয়েছেন। সবাই একসঙ্গে রাস্তায় নামলে সরকারের পতন হবে। যুগপৎ আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটাতে আমাদের পারতেই হবে।

মান্না বলেন, মেয়েদের ফুটবলে সোনা জয়ের অনুষ্ঠান এমনভাবে প্রচার করেছে যেন শেখ হাসিনা দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন। মানুষকে সোনা জয়ের ঘোরে রেখে মুন্সিগঞ্জে বিএনপির ওপর হামলা করেছে।

আরও পড়ুন: ভারত থেকে কিছুই আনতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী : মান্না

তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধ ও জঙ্গিবাদের ট্যাবলেট বেচেছেন অনেকদিন ধরে। জঙ্গি কাকে বানানো হচ্ছে, সেটি কতটুকু সত্যি তা আমাদেরকে বের করতে হবে। ১২ বছর ধরে প্রমাণ হয়েছে উন্নয়নের নামে সরকার যা করেছে তা একেকটি লুটপাটের প্রজেক্ট। সরকারের লোকেরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার করেছে। দেশে ১ কোটি শিক্ষিত বেকার। ৬ কোটি টাকার কাজ ১০ কোটির টাকা দিয়ে করেছে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মিয়ানমার ভুল করে সীমান্তে গুলি ছুঁড়েছে। কিন্তু যখন ইচ্ছে করে মারবে তখন কিছু করতে পারবে না। সরকার একটি দুর্বল সরকার। শুধু বিরোধী দলের ওপর সবল। আমেরিকা-লন্ডনে গেছেন তিনি তাদের ম্যানেজ করতে। গিয়ে বোঝাচ্ছে আমরা ইভিএমে আমরা ভোট করি। ইভিএম তো স্বচ্ছ। এজন্য আমাদের বুঝাতে হচ্ছে, এই ইভিএম সেই ইভিএম না। বাংলাদেশের ইভিএম চুরির বাক্স। চুরি করার ইভিএম। এখানে ভোটের পর পেপার ট্রেইল বের হয় না।

শাহ মোয়াজ্জেম সম্পর্কে মান্না বলেন, তিনি ছিলেন ছাত্ররাজনীতির আইকন। নিউক্লিয়াসের আগে শাহ মোয়াজ্জেমের নেতৃত্বে স্বাধীনতার পক্ষে লিফলেট বিতরণ করছিলেন। তার অসাধারণ সাহসিকতা ছিল, ছিল সত্য বলার প্রবণতা।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সহ সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বাবুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাহবুব উল্লাহ, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, আনোয়ার হোসেন, শাহ মো. নেছারুল হক, মনিরুজ্জামান মনির।

আইবি/এসএসএইচ