রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আয়োজনে দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী জামায়াতকে রাখেনি বিএনপি। সোমবার (১ মার্চ) বিকেল ৩টায় রাজধানীর হোটেল লেকশোরে দলটির সুবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে ২০ দলীয় জোটের শরিকরা অংশ নিলেও দেখা যায়নি জামায়াতের কোনো নেতাকে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিতর্কমুক্ত রেখে একে সর্বজনীন রূপ দিতে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী দল জামায়াতকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাদের দাওয়াত না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল বিএনপির হাইকমান্ডের।

এ প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকের বিএনপির সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জামায়াতের কোনো নেতা অংশ নেননি।

আমরা জামায়াতকে অনুষ্ঠানের দাওয়াত দেইনি। তাই তারা আসেনি

আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য

জামায়াতের কোনো নেতার অংশগ্রহণ না করা প্রসঙ্গে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা জামায়াতকে অনুষ্ঠানের দাওয়াত দেইনি। তাই তারা আসেনি।’

বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল 

দাওয়াত না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

আমার বাসায় অনেকগুলো স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দাওয়াত কার্ড এসেছে। সেগুলোর মধ্যে হয়তো বিএনপির দাওয়াত কার্ড রয়েছে

মাহমুদুর রহমান মান্না, আহ্বায়ক, নাগরিক ঐক্য

বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জোটনেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীরপ্রতীক), রেদোয়ান আহমেদ, আহমেদ আবদুল কাদের, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খন্দকার লুৎফর রহমান, সাইফুদ্দিন মনি, সাহাদাত হোসেন সেলিম, আজহারুল ইসলাম, সৈয়দ এহসানুল হুদা, আবু তাহের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ফারুক রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।

বিএনপি আমাদের দাওয়াত দিয়েছে। অনেকবার ফোনও করেছে। যেহেতু তাদের আগামীকালের অনুষ্ঠানে যাব, তাই আজ আর যাইনি

তানিয়া রব, সহ-সভাপতি, জেএসডি

এদিকে, বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি দলটির আরেক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলো। তবে, ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিকল্পধারার একাংশের নেতাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কী কারণে তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বিএনপি।

হোটেল লেকশোরে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

এ বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাসায় অনেকগুলো স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দাওয়াত কার্ড এসেছে। সেগুলোর মধ্যে হয়তো বিএনপির দাওয়াত কার্ড রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘তবে, বিএনপির কোনো নেতা আমাকে অনুষ্ঠানের দাওয়াতের বিষয়ে ফোন দেননি।’

জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপি আমাদের দাওয়াত দিয়েছে। অনেকবার ফোনও করেছে। যেহেতু তাদের আগামীকালের অনুষ্ঠানে যাব, তাই আজ যাইনি।’

এএইচআর/এমএআর