সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলন করতে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির। এমনটি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২ অক্টোবর ) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কল্যাণ পার্টির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। দুপুর ২টার কিছুক্ষণ পর শুরু হয়ে আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে দুই দলের শীর্ষ নেতাদের সংলাপ। 

সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্দলীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করা, নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তিসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির আন্দোলনের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। একইসঙ্গে সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলন বেগবান করার ইস্যুতে বিএনপি ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, প্রথম দফা সংলাপে জাতীয় ঐক্য করার বিষয়ে নীতিগত ঐকমত্য ছিল। এখন দ্বিতীয় দফায় সুনির্দিষ্ট দাবি আদায়ের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে । বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনে আমাদের সঙ্গে একমত কল্যাণ পার্টি। যে ২৩ দলের সঙ্গে প্রথম দফায় সংলাপ হয়েছিল, তারা ছাড়াও অন্য যেকোনো দল এ দফায় সংলাপে আসতে পারে।

দ্বিতীয় দফা সংলাপের পর যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা আসবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই আপনারা জানতে পারবেন।

এ সময় কল্যাণ পার্টির নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের দিন-তারিখ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে, চমক আছে, অপেক্ষা করুন। এবার বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই। বিজয় আমাদের হবেই। রাজপথে আমাদের দেখতে পাবেন।

তিনি বলেন, আমরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ধর্মীয় নেতাদের নির্যাতন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রভৃতি বিষয়ে কথা বলেছি।

বিএনপির পক্ষে সংলাপে আরও অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আর কল্যাণ পার্টির পক্ষে মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টু, যুগ্ম-মহাসচিব সোহেল মোল্লা, আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাহবুবুর রহমান শামিম, উত্তরের সেক্রেটারি জামাল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু হানিফ ও উত্তরের সেক্রেটারি আবু ইউসুফ সংলাপে অংশ নেন।

এএইচআর/আরএইচ