জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, সরকার অর্থনৈতিকভাবে অচল হয়ে গেছে। এই অবৈধ সরকার বিপর্যস্ত। তিন মাস পরে চাল কিনতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমি ২১ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি বলেছিলাম, ভিয়েতনাম ও রাশিয়া থেকে চাল কিনুন। জনগণকে খাদ্য নিরাপত্তা দিন। এরপর টাকা দিলেও খাদ্য পাওয়া যাবে না। ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় টাকা দিয়েও খাদ্য পাওয়া যায়নি।

বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত ‘স্বৈরাচারের পতন ও রাষ্ট্র রূপান্তরের গণজাগরণ গড়ে তুলুন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রব বলেন, আমরা স্বৈরাচারের বদলে আরেক স্বৈরাচার চাই না। এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের উত্থান এসেছে। জনগণ পাটি, চিড়া-মুড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। তারা কোন দলের কর্মী তা বড় কথা নয়। এই মুহূর্তে দরকার জনগণের সরকার।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সামনে মহাবিপদ আসছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করার মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসনের পতন করা হবে। তারপর রাষ্ট্রসহ সবকিছু পুনর্গঠন করা হবে। আজ যদি ভদ্রভাবে আপনারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতা থেকে যদি না যান, তাহলে পালাতেও পারবেন না। যাদেরকে খুন করেছেন, গুম করেছেন, তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা পালাতেও দেবে না।

জেএসডি সভাপতি বলেন, আসামিকে না পেলে তার পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এক লোক রাজনীতি করেন, তাকে না পেয়ে তার দুধের শিশুসহ স্ত্রীকে জেলখানায় ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। এমন সব দুঃখের কাহিনী শুনলে গাছের পাতা নড়ে পড়ে যাবে। আমাদের হাজার হাজার কর্মীদের মেরে ফেলা হয়েছে। আমার চাচা ছিল পাবনা জেলখানার সুপার কুদ্দুস সাহেব। সেই জেলখানা থেকে জেএসডির এক কর্মীকে মেরে বের করে বলা হয়েছে, পালানোর সময় মারা গেছে। এই হলো আওয়ামী লীগের ইতিহাস, ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারীদের ইতিহাস। আমরা কি এদের জন্য রক্ত দিয়েছি?

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর প্রমুখ।

এমএইচএন/আরএইচ