সরকারের ‘পান্ডা বাহিনী’র মনোবল চাঙা করতেই বিএনপির বিরুদ্ধে অগ্নি সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, অগ্নি সন্ত্রাস বিএনপি করে না বরং অগ্নি সন্ত্রাস করেন আওয়ামী লীগের লোকজন ও তাদের এমপিরা। বরিশালের এক এমপি বিহঙ্গ পরিবহনে আগুন লাগিয়েছিলেন, বিষয়টি প্রেস ক্লাবের সামনে তার নেতাকর্মীরা প্রকাশ করেছিলেন। তারাই বলে দিয়েছিলেন, আসলে বাসে আগুন লাগিয়েছিল কারা।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি‌র আয়োজন করা হয়।

এ সময় মির্জা আব্বাস বলেন, অগ্নি সন্ত্রাস শব্দটিকে ব্যবহার করে বিএনপির ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। অপরাধ করে আওয়ামী লীগ, আর দোষ চাপিয়ে দেওয়া হয় বিএনপি ওপর।

আগ বাড়িয়ে আওয়ামী লীগ অগ্নি সন্ত্রাসের কথা বলছে—দাবি করে তিনি বলেন, এর অন্যতম কারণ আন্দোলন করার সময় আওয়ামী লীগ যে কাজটি করবে, তারা সেই কথাটাই এখন বলে রাখছে। এই কাজ এর আগেও আওয়ামী লীগ বহুবার করেছে। এখন আবার করবে তাই আগে থেকেই বলে দিচ্ছে। একটু দেরিতে হলেও বিষয়টি আমরা বুঝে ফেলেছি।  

বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও অহিংস্র আন্দোলন করবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে জনগণের।

‘বিএনপি ১৩ বছরে ১৩ মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি’—আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এখন আমরা প্রেস ক্লাব, নয়াপল্টনের গণ্ডি পেরিয়ে সারাদেশে বিভাগীয় সমাবেশ করছি। সেই বিভাগীয় সমাবেশে জনস্রোত ঠেকাতে এমন কোনো চেষ্টা নেই যা সরকার করেনি। আমাদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সব ধরনের যানবাহন, লঞ্চ, খেয়া ও এমনকি রিকশা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। তারা সমস্ত পরিবহনব্যবস্থা অচল করে দিয়েছে, এমনকি আগামীতেও দেবে।

এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এআর/কেএ