মা বিদিশা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলেছিলেন প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। বিদিশাকে উদ্দেশ করে সে ক্লিপে এরিককে বলতে শোনা যায়, উনি জঘন্য ক্রিমিনাল, উনি মেয়ে মানুষ দিয়ে আমাকে প্রভাবিত করেছে, উনি অবৈধভাবে এই বাসায় ঢুকেছে। তবে কয়েকদিন যেতেই সেই এরিকই এখন বলছেন, এসব কথা বলতে কাজী মামুনুর রশীদ তাকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। 

বিদিশা সিদ্দিকের মাধ্যমে এরিক এরশাদের সঙ্গে ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে এরিক বলেন, এটা আমাকে দিয়ে বলানো হয়েছে। উনি (কাজী মামুনুর রশীদ) এটা রেকর্ড করে রেখেছে। আগে ফোন করে শিখিয়েছে।

তাহলে এখন কোনো সমস্যা নেই— জানতে চাইলে এরিক বলেন, না এখন কোনো সমস্যা নেই।

ছড়িয়ে পড়া অডিও ক্লিপে শোনা যায় এরিক এরশাদ ট্রাস্টের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদকে বলছেন, তিনি (বিদিশা সিদ্দিক) থাকলে আমি থাকব না, চলে যাব। আমি একজন মুসলমান বিধায় কিছু করছি না। অনেক মানুষ কিন্তু আত্মহত্যাও করে। উনি যে কত জঘন্য ক্রিমিনাল, ঠিক আছে। উনি কিন্তু মেয়ে মানুষ দিয়ে আমাকে প্রভাবিত করেছে। উনি কিন্তু অবৈধভাবে এই বাসায় ঢুকেছে। উনি কিন্তু এখন স্ত্রীও নেই। আপনি যদি আমাকে না বাঁচান তাহলে পরে কিন্তু বিশ্বাস উঠে যাবে। মা ছেলের বিরুদ্ধে চলে গেছে। আমার কিন্তু মা-বাপ বলে কেউ নেই। আমি এতিম একটা ছেলে।

আরও পড়ুন : বিদিশা-মামুনুরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

তবে এরিককে এসব কথা শিখিয়ে দিয়েছেন— এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাজী মামুনুর রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটা সত্য না, এ ব্যাপারে আমি আর কোনো কথা বলতে চাই না।

ওই ক্লিপে এরিককে আরও বলতে শোনা যায়, এই মহিলা যেন আমার সঙ্গে আর না থাকে। উনি নারী জাতির কলঙ্ক। এই মীর জাফরকে আমার কাছ থেকে সরান। এই এরশাদ শিকদারকে আমার কাছ থেকে সরান। আমি আপনাদেরকে আজকে দেখতে চাই এই বাসায়। যা করার তাড়াতাড়ি করেন। বাসাটা আমার দরকার। যা দিয়েছেন তা তো আর সরাতে পারবেন না। তারপরও আপনি একটা ব্যবস্থা করেন। আপনি কখন আসবেন?

এরিকের এসব কথা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিদিশা সিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এগুলো নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।

ছড়িয়ে পড়া ওই ক্লিপে আয়েশা নামে আরও একজন সম্পর্কে কথা বলতে শোনা যায় এরিককে। তিনি বলেন, আয়েশা নামে একটা মেয়ে আছে না, আমার সঙ্গে থাকে, উল্টাপাল্টা আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বানিয়ে ওকে বের করেছে। ওর সঙ্গে আমার শারীরিক সম্পর্ক না। ওকে আমি বোনের চোখে দেখি। ওকে আমার সঙ্গে রাইখেন। আর আপনি (কাজী মামুনুর) ও রোবায়েত ভাই আমার দেখাশোনা করবেন। উনি (বিদিশা এরশাদ) আমার সঙ্গে থাকলে আমি আর এক মুহূর্ত এই বাসায় থাকব না। আজকেই করেন। আজকে সূর্য ডোবার পর যদি উনি এই বাসায় থাকেন, তাহলে আমি আর থাকব না। আমাকে বাঁচান।

এএইচআর/এসএসএইচ