গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের দমনে সরকার তুঘলকি নীতি গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, সিলেট, কুমিল্লা, রাজশাহী এবং ঢাকার সমাবেশকে ব্যর্থ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ যৌথভাবে ‘অপারেশন সার্চ লাইটের’ মতো সহিংস আক্রমণ করছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর। সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সমাবেশস্থলের দিকে জনগণের এগিয়ে আসা বন্ধ করা যায়নি। যা কোনোভাবেই সরকার সহ্য করতে পারছে না। 

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

রিজভী বলেন, প্রায় দেড় দশক ধরে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের বেপরোয়া লুটপাট, সীমাহীন দুর্নীতি ও অসহনীয় দুঃশাসনের কারণে পুরো জাতি আজ ভোগান্তিতে পড়েছে। দেশ এখন গভীর সংকটে পড়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস এবং অজস্র রক্তধারার বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রের কবর রচনা করে শুধু পুলিশি শক্তির ওপর ভর করে টিকে থাকা সরকার গোটা জাতিকেই পরাধীন করেছে। 

রিজভী বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল নরসিংদীতে  প্রস্তুতি সভা চলাকালে বিএনপি কার্যালয় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় পুলিশ জেলা বিএনপির সদস্য সাইফুল ইসলাম সোহেল, বিএনপি নেতা আব্দুল বাতেন, জামাল মিয়া, মনিরুল ইসলাম মনির, জেলা কৃষকদল নেতা কামাল উদ্দিন কমল, ছাত্রদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, ১৯ নভেম্বর সিলেটে গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে। গুম হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনার গাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে।

এএইচআর/এসকেডি