প্রেসক্লাবে সেমিনারে ড. হাছান মাহমুদ/ ছবি : শাকিল আহাম্মদ

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খলনায়ককে নায়ক বানানোর যে অপচেষ্টা আপনারা করছেন, তা পরিহার করুন। তাহলেই নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানবে।

রোববার (৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : বাঙালির মুক্তির সড়ক’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর এ ভাষণ বাজেনি। রাষ্ট্রীয় সব অনুষ্ঠানে এ ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুর নামটিও নিষিদ্ধ ছিল। ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের আবেদন যেমন ছিল, এখনও তেমনই আছে। এখনও মানুষ এ ভাষণ শুনে উদ্দীপ্ত হয়। 

তিনি বলেন, আজ দেখতে পেলাম, এ ভাষণ যারা নিষিদ্ধ করেছিল, ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল, বঙ্গবন্ধুর নামটাও নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল, তারা ৭ মার্চ পালন করার উদ্যোগ নিয়েছে। সম্ভবত আজকে তারা পালনও করছে। এটি কোন দুরভিসন্ধি নিয়ে পালন করছে- তা আমি জানি না। 

তিনি আরও বলেন, ইতিহাস বিকৃত করে কোনো লাভ হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে মানুষের মনের মণিকোঠা থেকে মুছে ফেলা যায়নি। ইতিহাসের যে বিকৃতি ঘটানো হয়েছিল সেটি ইতোমধ্যে মুছে গেছে। শুধু পুস্তক থেকে নয়, এটি মানুষের মনের মণিকোঠা থেকেও মুছে গিয়েছে। আসুন সবাই সত্য ইতিহাসকে মেনে নিই। সত্য ইতিহাসকে ধারণ করি, সত্য ইতিহাসকে লালন করি। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাসস চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মনের কথা। তিনি তার ভাষণের মাধ্যমে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এ ভাষণ শুধু বাঙালির মুক্তির পথ দেখায়নি, মানবমুক্তির পথও দেখিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বিশ্বের অনন্য ভাষণের একটি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। আমেরিকার আব্রাহাম লিংকন ভাষণ দিয়েছিলেন আমেরিকার গৃহযুদ্ধ বন্ধের জন্য, আর বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছিলেন একটি দেশকে স্বাধীন করার জন্য। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অনন্য। যারা একসময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বিরোধিতা করেছে, তারা আজ নতুনভাবে ৭ মার্চ পালন করছে। তবে তারা সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে আবার ইতিহাস বিকৃত করবে।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাবেক সভাপতি ও যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাসসের সাবেক সিটি এডিটর অজিত কুমার সরকার প্রমুখ। 

এমএইচএন/আরএইচ