বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া/ ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ছে। তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর জন্য মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৮ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগের শর্তেই খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে মতামত দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এ সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দিয়েছেন। নথি সোমবার (৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। গত বছর ২৫ মার্চ ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে ২৫ মাস কারাভোগের পর সরকার শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ফের ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে মেয়াদ আগামী ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে।

গত ২ মার্চ সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার। একইসঙ্গে দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কি না সে প্রসঙ্গেও খালেদার পরিবার আর্জি জানায়। এরপর আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদনটি পাঠানো হচ্ছে। 

এর আগে গত ৩ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিবার আরও কিছু শর্ত শিথিল করে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে।’

আবেদনে শর্ত শিথিলের ব্যাপারে খালেদা জিয়ার পরিবার কী বলেছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আবেদনপত্রে খালেদা জিয়া করোনাকালে চিকিৎসা নিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। এছাড়া তার দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কি না, সে সম্পর্কেও বলেছেন।’

সাজা মওকুফের কোনো সুযোগ আইনগতভাবে আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওইদিন মন্ত্রী বলেন, ‘সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তারা বলেছেন, আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। আমি তো আগেও বলেছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময় যতখানি সম্ভব (খালেদার জন্য) ব্যবস্থা করছেন।’

এসএইচআর/এইচকে