গত তিন দিনে সারা দেশে বিএনপির ৭৭৬ জন নেতা-কর্মীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘কো-অপারেটিভ ফ্যাসিজম’ রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। এক ধরনের দুর্ভাবনা থেকে স্বাধীন কণ্ঠস্বরকে নিবৃত্ত করতেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে গায়েবি মামলা ও গণগ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, অর্থনৈতিক ধাক্কা ও দুঃশাসনের কষাঘাতে ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বেসামাল হয়ে গেছে। সরকারবিরোধী হাওয়া প্রবল আকার নিচ্ছে। তাই ছলে-বলে কৌশলে ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশজুড়ে পুলিশ-র‌্যাবকে দিয়ে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে।

রিজভীর দাবি, মিথ্যা ককটেল বিস্ফোরণ মামলা, কবর থেকে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে হাস্যকর মামলা দায়ের করা হচ্ছে। অক্ষত গাড়ি কিন্তু মামলা দায়ের হচ্ছে ভাংচুরের, ছাত্রলীগ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা মিছিল করে নিজেরা ককটেল ফাটিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করা হচ্ছে। কোনো ঘটনা না ঘটলেও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাদের বাদী করে মিথ্যা ককটেল বিস্ফোরণের মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটছে সমানতালে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেই বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সোহওরাওয়ার্দী উদ্যান চার দিক থেকে ঘেরা একটা খাঁচার মতো, সেখানে নেতা-কর্মীরা নিরাপদ মনে করছেন না। নয়াপল্টনকেই তারা নিরাপদ মনে করছেন। সরকার বা পুলিশের পক্ষ থেকে যাই বলা হোক না কেন বিএনপির সমাবেশ নয়াপল্টনেই হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মর্জিমাফিক আর কিছুই হবে না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঝড়ো হাওয়া তিনি আর স্থির করতে পারবেন না। নতুন নতুন প্রহসন ও নাটক করে শেষ রক্ষা হবে না।

বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রচণ্ড রকম বাড়াবাড়ি করেছে বলেও দাবি করেন রিজভী। তিনি আরও বলেন,  তিন দিন আগে থেকেই জনগণ সমাবেশের মূল মাঠে আসার জন্য চেষ্টা করলেও পুলিশ তাদের ঢুকতে দেয়নি এবং বিভিন্ন রকমের হয়রানি করেছে।

এএইচআর/এমএ