আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, ৯ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের জনসভায় পাঁচ লাখ মানুষের জমায়েত ঘটাতে পারলে পরের দিন বিএনপির জনসভা ভণ্ডুল হয়ে যাবে।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য অপপ্রচার ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আগামী ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ সফল করতে আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আজম বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতারা বক্তৃতা দিচ্ছে আগামী ১০ ডিসেম্বর নাকি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে। তারা আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে টান দিয়েছে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা ১৪ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে দেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। বিএনপি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ১৪টি গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মম হত্যা করেছে, সেই খুনির দল বিএনপি আজ আবার ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা কয়েকদিন ধরে আগাম জানান দিচ্ছে, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নাকি দেশ পরিচালিত হবে। তারেক রহমান নাকি ১১ তারিখ দেশে প্রত্যাবর্তন করবে। আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে টান দিয়েছে, সেই অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনকে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ৯ তারিখের জনসভা সফল করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আগামী ৯ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এটা কিন্তু গতানুগতিক কোনো জনসভা নয়। তিন বছরে মাত্র একটি জনসভার আয়োজন করছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। কিন্তু আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি বছর একটি করে জনসভা হওয়ার কথা।  সেটা কিন্তু হয়নি।

যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ৭৩ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে যে অসাধ্য সাধন করেছে, ৬১০টি ইউনিট পর্যায়ে কমিটি গঠন করেছে। ইতোমধ্যে ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে সম্মেলন সমাপ্ত হয়েছে। তবে এখনও কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়নি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আজম বলেন, আজ এখানে বর্ধিত সভা হওয়া কথা। এখানে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আসার কথা। কিন্তু দেখলাম এখানে মিছিল আসছে। এই জায়গায় মিছিল আসার কথা নয়। সেই মিছিলের ব্যানার হলের মধ্যে নিয়ে এসেছে। জনসভায় এলে আমাদের ব্যানার নামিয়ে ফেলতে হবে। কারও ব্যানার মাইকে ঘোষণা করে নামাতে হলে আগামীতে তার পদপদবি কিছুই থাকবে না৷ মাইকে ঘোষণা দিয়ে ব্যানার নামানো মানে তার ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রুহুল আমিন, দিলীপ কুমার, শহীদ সেরনিয়াবাত, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ কামাল, মিরাজ হোসেন, মহীউদ্দীন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুনন্নবী সাগর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন ভূইয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ প্রমুখ।

এমএসআই/এসএসএইচ/