দীর্ঘ লাইন ধরে রিকশার চলাচল নেই, নেই পথচারীদের আনাগোনা। সুনসান নীরবতা চারদিক। একদিকে নাইটিঙ্গেল মোড় অন্যদিকে ফকিরাপুল মোড় দুই দিকেই বসেছে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা। এই দুই মোড়ের মাঝে যত অলিগলি আছে সবগুলোর মুখও বন্ধ করে সেখানে সরব উপস্থিতি রয়েছে পুলিশের।

নাইটিঙ্গেল থেকে ফকিরাপুল পুরো সড়কে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ। চলছে না যানবাহনও। শুধু পুলিশ আর সংবাদ কর্মী ছাড়া ওই সড়কে আর কারও উপস্থিতি নেই।   

আরও পড়ুন : মির্জা ফখরুলের আটকের বিষয়ে যা বললেন তার স্ত্রী

বিএনপির কার্যালয়ের সামনেও দলটির কোনো নেতাকর্মী নেই। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল গেটে তালা লাগানো, সামনে কড়া নিরাপত্তায় পুলিশ। লাইন হয়ে দাঁড়ানো শত শত পুলিশ কার্যালয়ের সামনে। আশপাশে রয়েছে পুলিশের বিশেষ গাড়ি, জলকামান, এপিসিসহ। একের পর এক টহল গাড়ি যাচ্ছে-আসছে। আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ানের সদস্যরাও আছেন পুলিশের পাশপাশি। 

বলা হচ্ছে, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা রুখতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে নয়াপল্টনে।

আরও পড়ুন স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ভেন্যুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত 

এখানে নিরপত্তায় নিয়োজিত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী তারা পুরো এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নিরপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে এই পুরো এলাকার পাশাপাশি প্রতিটি গলিতে অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে নয়াপল্টনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানিয়েছিলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এই এলাকা (পল্টন) আমরা পরিপূর্ণ নিরাপদ মনে না করব, ততক্ষণ পর্যন্ত এখানে যান চলাচল, জনসাধারণের চলাচল বন্ধ থাকবে। আমরা কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে আটকাচ্ছি না। তবে এখানে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার কোনো অবকাশ নেই। 

আরও পড়ুন : মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপও চেক করছে পুলিশ

বিপ্লব কুমার বলেন, বিএনপির দলীয় কার্যালয়কে আমরা এখন আইনের ভাষায় বলছি, প্লেস অব অকারেন্স (পিও)। যে কারণে আমরা এটি কর্ডন করে রেখেছি। বিশেষজ্ঞ ব্যতীত, ক্রাইম সিনের লোকজন ব্যতীত কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত পুলিশের কাজ শেষ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এখানে কোনো কিছুই হতে দেওয়া হবে না। 

এএসএস/এনএফ