বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় এসেছেন বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী। গ্রেপ্তার ও হয়রানি এড়াতে সিনিয়র নেতাদের নির্দেশনায় তারা এ কৌশল নিয়েছিলেন। তারা কেউ লঞ্চে, কেউবা বাসে করে ঢাকায় আসেন। তারপর ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নিজ নিজ আত্মীয় স্বজনের বাসায়, মেসে তারা অবস্থান করে আসছিলেন।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে সমাবেশে যোগ দিতে যাত্রাবাড়ী মোড়ে জড়ো হন পটুয়াখালীর সব নেতাকর্মী। সেখানেই ঢাকা পোস্টের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় তাদের।

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সাত দিন আগে ঢাকায় এসেছি। এছাড়া তো আমাদের উপায় ছিল না। কারণ শেখ হাসিনা সরকার তো আমাদের আসতে দিত না। তিনি জানান, শুধু দুমকি উপজেলা থেকে দেড় হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে এসেছেন। পটুয়াখালী থেকে ১০ হাজারের মতো নেতাকর্মী এসেছেন বলেও জানান তিনি।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের সভাপতি ইসমাঈল মেম্বার বলেন, এক সপ্তাহ আগে লঞ্চে করে ঢাকায় এসেছি। রায়েরবাগে এক আত্মীয়র বাসায় ছিলাম। আমার সঙ্গে আরও ৫০ জন এসেছিলেন। আজ সবাই সমাবেশে এসেছি।

দশমিনা উপজেলার যুবদল নেতা শাহীন খান বলেন, সাত দিনের কষ্ট আজ সফল হয়েছে। সমাবেশে আসতে পেরেছি, এটাই বড় বিষয়।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, বিএনপির প্রস্তাবিত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরপর সন্ধ্যায় ২৬টি শর্তে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গোলাপবাগ মাঠে গণসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়।

১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য বিএনপি শুরু থেকেই নয়াপল্টনের সড়ক ব্যবহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। আর সরকার শুরু থেকেই বলে আসছিল নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

তবে সোহরাওয়ার্দীর বিষয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল বিএনপি। তারা আরামবাগ ও সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুলের মাঠের প্রস্তাব দিলেও পুলিশ তাতে রাজি হয়নি।

এমএইচডি/এসএসএইচ/