বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ী মোড়ে পুলিশ, এপিবিএন ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও অবস্থান নিয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের হাতে লাঠিও দেখা গেছে।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে এ রুটে দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি। তবে ঢাকায় চলাচল করা কয়েকটি বাস চলতে দেখা গেছে। তাও অন্যদিনের তুলনায় অনেক কম। গণপরিবহন কম থাকায় মানুষ হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।

যাত্রাবাড়ী থেকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর যাবেন ইসরাফিল নামের এক যুবক। বাস না পেয়েই হাঁটা শুরু করেছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাস পাচ্ছি না, তাই হেঁটেই যাচ্ছি।

যাত্রাবাড়ী মোড়ে আনোয়ার নামের আরেক কর্মজীবী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মীরহাজিরবাগ যাচ্ছি। বাস না পেয়ে হেঁটেই যেতে হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, বিএনপির প্রস্তাবিত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরপর সন্ধ্যায় ২৬টি শর্তে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গোলাপবাগ মাঠে গণসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়।

১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য বিএনপি শুরু থেকেই নয়াপল্টনের সড়ক ব্যবহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। আর সরকার শুরু থেকেই বলে আসছিল নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

তবে সোহরাওয়ার্দীর বিষয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল বিএনপি। তারা আরামবাগ ও সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুলের মাঠের প্রস্তাব দিলেও পুলিশ তাতে রাজি হয়নি।

এসএইচআর/এসএসএইচ/