বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে এসেছেন নেতাকর্মীরা। দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষও। তাদের মতোই সমাবেশস্থলে এসেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন। ১৬১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ফেনী থেকে ঢাকার সমাবেশে যোগ দিয়েছেন তিনি। সরাসরি বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত না থাকলেও সমাবেশ সফল করে সরকারের পতন চান তিনি।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে মাইনুদ্দিনের সঙ্গে ঢাকা পোস্টের কথা হয়। তিনি জানান, অসহনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির যাঁতাকলে পিষ্ট হতে চলেছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন।

মাইনুদ্দিন বলেন, ঢাকায় আসতে পুলিশ সমস্যা করবে জানতাম, তাই ৮ দিন আগেই আমি ঢাকায় এসে প্রতিবেশী এক ভাইয়ের বাসায় উঠেছি। আমি সমাবেশে অনেক কষ্ট নিয়ে এসেছি। দেশে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, এই অবস্থায় নিজেকে আর মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। তাই অনেকটা মনের আবেগ থেকেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, মানুষ এখন কথাও বলতে পারছে না, আবার সহ্যও করতে পারছে না। এজন্য আমি চিন্তা করলাম সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি যদি এগিয়ে আসি, আরও মানুষ যদি এগিয়ে আসে, তাহলে দ্রব্যমূল্যের দামটা হয়তো নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। 

প্রত্যাশার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমি চাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, এমন কেউ ক্ষমতায় আসুক যার মাধ্যমে দেশের মানুষ শান্তিতে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারবে।

এদিকে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাতেই নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশস্থল। তবু সমাবেশ উপলক্ষে দলটির নেতাকর্মীরা সকাল থেকে দলে দলে গোলাপবাগ মাঠে আসতে থাকেন। কিন্তু মাঠে জায়গা না হওয়ায় তারা সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকা ও রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন।

রাস্তায় অবস্থান নিয়ে এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ ও ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, তারেক জিয়ার অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনু।

সমাবেশের মঞ্চে ইতোমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনুকুল হাসান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল। 

টিআই/কেএ