গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত মেয়র এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ক্ষমা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর ) বেসরকারি একটি টেলিভিশনের একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
  
তিনি বলেন, যে পাপে তারা সাজা পেয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি তারা ঘটাবে না, এই শর্ত দিয়েই তারা ক্ষমা পেয়েছেন। আগামীতে তারা সেসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। বলা যাবে যে, তুমি শর্ত ভঙ্গ করেছ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাহাঙ্গীর তো অ্যাপ্লাই (আবেদন) করেছে। তারটা মওকুফ করেছে। যারাই আবেদন করেছে তাদেরকেই ক্ষমা করেছে। একশর মতো ছিল। অনেকে কলহে-বিবাদে জড়িয়েছে, শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। এগুলো ক্ষমা করা হয়েছে।

গত শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। গণভবনে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এর আগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কটূক্তি এবং নানা রকম বিতর্কিত আপত্তিকর মন্তব্য অভিযোগে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দল থেকে প্রথমে বহিষ্কার করা হয়। ওই দিন অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছিলেন।

ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল যে, জাহাঙ্গীর আলম যে অপরাধ করেছে তা অমার্জনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য। যদিও জাহাঙ্গীর আলম বারবার বলেছিলেন যে, নেতার বক্তব্য টেম্পারড করা হয়েছে এবং খণ্ডিতভাবে তার বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তাকে ফাঁসানোর জন্যই তথ্য বিকৃতি করা হয়েছে। এই বহিষ্কারাদেশের পর পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জাহাঙ্গীর আলমকে সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদ থেকেও অব্যাহতি দেন এবং তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করা কিংবা দুর্নীতির অভিযোগে কোনো মামলাই দায়ের করা হয়নি। বরং জাহাঙ্গীর আলম তার নিজস্ব গণ্ডির আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন।

এমএসআই/এমএ