নানা অভিযোগ তুলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কয়েকটি ওয়ার্ড কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন বেশ কয়েকজন নেতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে তারা নিজেদের পদত্যাগের ঘোষণা দেন। কিন্তু পদত্যাগ করার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই আগের পোস্ট ডিলেট করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করে আবার পোস্ট দেন তারা।

পদত্যাগকারী নেতাদের অভিযোগ ছিল, মোহাম্মদপুর থানার ৩১, ৩২ ও ৩৩নং ওয়ার্ড এবং বনানী থানার ১৯নং ওয়ার্ড, শাহআলী থানার ৮ ও ৯৩নং ওয়ার্ড, আদাবর থানার ৩০ ও ১০০নং ওয়ার্ড কমিটি গঠনে আন্দোলন-সংগ্রামের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এসব জায়গায় কমিটি গঠনে টাকার বিনিময়ে পদ বাণিজ্য, ভাই ম্যান এবং আঞ্চলিক সম্পর্ককে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত পদ না পাওয়ায় তারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। তবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব অতীতের মতো আগামীতেও রাজপথে সক্রিয় থাকবেন বলে উল্লেখ করেন পদত্যাগকারী নেতারা।

৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপির নবগঠিত কমিটির যারা পদত্যাগ করেছেন— সহ সভাপতি শামসুর রহমান শাহীন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক সালাউদ্দিন মৃধা, সদস্য মনির পালোয়ান, কোষাধ্যক্ষ মো. কফিল উদ্দিন কফিল, সহ কোষাধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল ও সহ সম্পাদক লোকমান শিকদার, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

কোষাধ্যক্ষ মো. কফিল উদ্দিন কফিল তার পদত্যাগের পোস্ট ডিলেট করে নতুন পোস্ট দিয়ে লেখেন, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ভাইয়ের আশ্বাসে আমার পদত্যাগের পোস্ট রিমুভ করে ফেললাম। বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও থাকব।

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর লেখেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে পদত্যাগ বাদ দিয়ে উত্তরের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নির্দেশনা মেনে কাজ করব। দলের স্বার্থে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করছি।  

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং সদস্য সচিব আমিনুল হক মোহাম্মদপুর থানার পাঁচটি ওয়ার্ড ২৯, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪নং-এর কমিটি অনুমোদন দেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সদস্য সচিব আমিনুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, যারা পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করেছেন তারা গতকাল (বুধবার) এসে দুঃখপ্রকাশ করে আগের পোস্ট ডিলেট করে দিয়েছে। কেউ দল থেকে পদত্যাগ করেনি। 

এএইচআর/এসএসএইচ/