আওয়ামী সরকারের লাইফ সাপোর্ট আছে ৬ মাস : নুর
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও শেখ হাসিনা মিথ্যাচার করছেন। আর এগুলো প্রচারে মিডিয়াকে বাধ্য করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাচারী আওয়ামী সরকারের লাইফ সাপোর্ট আছে মাত্র ছয় মাস। ছয় মাসের মধ্যে আওয়ামী নেতারা সেফ এক্সিট না নিলে জনগণ তাদের মোক্ষম জবাব দেবে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, ইসরায়েল থেকে ফোনে আড়িপাতার যন্ত্রপাতি ক্রয়, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত রাজবন্দিদের মুক্তি এবং বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
নুর বলেন, রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় সাইবার বাহিনী তৈরি করেছে। বিরোধী মতের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে সরকার এ সাইবার বাহিনীর মদদ যোগাচ্ছে। আওয়ামী সাইবার বাহিনী থেকে আমার বিরুদ্ধে গুজব রটানো ভিডিও বানানো হচ্ছে। সেগুলো প্রকাশে পত্রিকার মালিকদের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর আগে আমি তথ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলাতেই তিনি আমার বিরুদ্ধে মিডিয়ার অপব্যবহার করতে উসকে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ইসরায়েল নামক যে রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের আইনগত সম্পর্ক নেই সে দেশ থেকে কোন আইনে জনগণের ওপর নজরদারির ডিভাইস কিনেছে আমরা জানতে চাই। এ সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রেখে বাংলাদেশকে ফিলিস্তিন বানাতে চায়।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপি, জাতীয় পার্টি, চরমোনাইসহ আওয়ামী বিরোধী সব দলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। সুস্থ নির্বাচন নিয়ে যেসব রাজনৈতিক দল কাজ করছেন আমরা তাদের সঙ্গে আছি। সব দল মিলেই আগামীতে গণআন্দোলন গড়ে উঠবে।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, আওয়ামী সরকার নতুন চক্রান্তে মেতেছে। যেভাবে বিডিআর বিদ্রোহের নাটক সাজিয়ে চৌকস অফিসারদের হত্যা করা হয়েছে এবং হেফাজতের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত করা হয়েছে। আবারও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন চক্রান্তের জাল বুনছে তারা। একই সঙ্গে আওয়ামী এজেন্টরা এ চক্রান্ত বাস্তবায়ন করছে।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা বলেন, বর্তমান সরকার দেশের মানুষকে নগ্ন করার পাঁয়তারা করছে। ইসরায়েল থেকে গোপনে ফোনে আড়িপাতার যন্ত্র কিনে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনেও হস্তক্ষেপ করছে। দেশের সচেতন নাগরিক এ সরকারকে প্রতিহত করবে। এগুলো কোন সংবিধানের আইনে তারা এ জাতীয় অবৈধ ডিভাইস আমদানি করার চুক্তি করেছে সে বিষয়ে এ দেশের জনগণ জানতে চায়।
তারা আরও বলেন, দেশের অগণতান্ত্রিক আওয়ামী সরকারের নেতা-কর্মীরা গোপনে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। তারা উচ্চমূল্যে ইসরায়েল থেকে অবৈধ প্রযুক্তি কিনে ক্ষমতার মসনদে টিকে থাকতে চায়। আমাদের ক্যারিশম্যাটিক লিডার ভিপি নুরের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা দেখে আওয়ামী সরকারের শরীর জ্বলছে।
দিন বদল আর ডিজিটাল বাংলাদেশের গল্প শুনিয়ে সরকার দেশের মানুষকে জেলে বন্দি করছে উল্লেখ করে নেতা-কর্মীরা বলেন, সকল জনগণ যদি জেগে ওঠে তবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে। এতদিন তারা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। এখন স্মার্ট বাংলাদেশের গল্প শুনিয়ে দেশকে বিক্রির পাঁয়তারা চলছে। দেশের আপামর জনসাধারণ ইসলামবিদ্বেষী এ সরকারকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।
এমএম/এমএ