বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ‌‘বিতর্কিত’ বক্তব্যে জন্য তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।

এতে তারা বলেন, বাংলাদেশ কারো দয়ার দান নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহকর্মী জাতীয় নেতৃবৃন্দের পাকিস্তানি শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে দীর্ঘ আড়াই দশকের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এই দীর্ঘ সংগ্রামে অসংখ্য মানুষ আত্মাহুতি দিয়েছেন, এছাড়া নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন আরও অগণিত মানুষ। কেবলমাত্র একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ই শহীদ হয়েছেন ৩০ লক্ষাধিক মানুষ, সম্ভ্রম হারিয়েছেন লাখ লাখ মাতা-বধূ-কন্যা।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বাই চান্স এসেছে– এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য রেখে গয়েশ্বর রায় এই মহান আত্মত্যাগকে চরমভাবে অবমাননা করেছেন। সেই সঙ্গে আবদুল আউয়াল মিন্টু দেশের সংবিধান যারা তৈরি করেছেন তারা কেউ যোগ্য লোক ছিলেন না এবং বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের সংবিধান নতুন করে লেখার যে ঘোষণা দিয়েছেন তা বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।

আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জনগণের তোয়াক্কা না করে যারা কোনো কোনো সামরিক কর্মকর্তার পকেট থেকে জন্ম নেওয়া দলের বাই চান্স নেতা হয়ে গিয়েছেন, একমাত্র তাদের পক্ষেই দেশের স্বাধীনতা ও সংবিধান নিয়ে এমন ধরনের অর্বাচীন ও বাস্তবতা বিবর্জিত মন্তব্য করা সম্ভব। তাদের এইসব বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক এবং এজন্য অবিলম্বে তাদেরকে প্রচলিত আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।

এইচআর/এমএ