‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবি’তে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে ওলামা দলের নেতা মাওলানা মুজিবুল হকের কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।

ইতোমধ্যেই মঞ্চে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হয়েছেন। আর মঞ্চের সামনে থেকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিচ্ছেন।

এর আগে বেলা ১২টার থেকে খণ্ড-খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা। এই সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগানসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবি জানান।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। এছাড়া দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমান উল্লাহ আমানসহ অন্য নেতারাও বক্তব্য রাখবেন। 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চলনা দায়িত্বে আছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।

সরেজমিনে দেখা যায়, বরাবরের মতো আজও নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কে সমাবেশের জন্য পিআপ ভ্যানে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। আর নেতাকর্মীদের বসার জন্য সড়কে বিছানো হয়েছে ক্যার্পেট। যার ফলে, নয়াপল্টন এলাকার ভিআইপি সড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আর অন্যপাশের সড়কেও সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা অবস্থান নেওয়ার কারণে যানচলাচল সীমিত হয়ে আছে।

বরাবার মতো আজও বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সর্তক অবস্থান নিয়েছে পুলিশসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একইসঙ্গে নয়াপল্টন থাকার উল্টোপাশে চায়না টাউনের সামনে রাখা হয়েছে প্রিজন ভ্যান, জলকামান।

এএইচআর/এসএম