বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি গোদের ওপর বিষফোড়া : বাংলাদেশ ন্যাপ
আবারও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া সাধারণ জনগণের জন্য ‘গোদের ওপর বিষফোড়া’ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় সংগঠনটি।
বিজ্ঞাপন
পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বিবৃতিতে বলেন, একদিকে পাইকাররা কারখানায় তরল প্রাকৃতিক গ্যাস পাচ্ছে না। অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে গ্যাসের দাম পৌনে দুইশ ভাগের বেশি বাড়ানোর ফলে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের মূল্য আবারও বাড়লে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য আরও বাড়বে। ফলে জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
নেতৃদ্বয় বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া সাধারণ জনগণের ওপর ‘কাঁটাযুক্ত বোঝা’ হয়ে দাঁড়াবে। বিদ্যুৎ খাতের ভুল নীতি ও দুর্নীতির দায় আবারও জনগণের ওপর চাপানো হচ্ছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে নিত্যপণ্যের দামও বৃদ্ধি পাবে।
বিজ্ঞাপন
তারা বলেন, বিদ্যুৎ খাতে খরচ বৃদ্ধি, ভর্তুকি প্রত্যাহার ও মূল্য সমন্বয়ের নামে আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধি জনগণের পকেট কেটে লুটেরাদের পকেট ভর্তি করারই চেষ্টা মাত্র। বর্তমান আর্থিক সংকটে সরকার দায়িত্বশীল হলে জনগণের ঘাড়ে এমন বোঝা চাপিয়ে দিত না। লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষাকারী শাসকদের মানুষের সুবিধা-অসুবিধার দিকে কোনো নজর থাকে না। বর্তমান সরকার বারবার তাই প্রমাণ করছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশে দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলছে। বাংলাদেশে বর্তমানের নীতি হলো ‘যে করে আয় তার পকেট ফাঁকা, আর যে আয় করে না তার পকেট থাকে মোটা’। আরেক দফা বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া সরকারের সেই নীতিরই বাস্তবায়ন। লুটেরা রাজনীতি আর লুটেরা অর্থনীতিকে পরাজিত না করতে পারলে মানুষের মুক্তি আসবে না।
তারা বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি পেলে কৃষি শিল্পসহ সর্বত্র উৎপাদন খরচ বাড়বে। ওই বাড়তি দামও সাধারণ মানুষের পকেট থেকে তুলে নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি। প্রকৃত আয় কমে গেছে। এ অবস্থায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে আরও সংকট নিয়ে আসবে। দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অপচয় দূর করতে পারলে বিদ্যুতের মূল্য না বাড়িয়ে কমানো যেত। সরকারের ভুল নীতির কারণে উৎপাদন ব্যয় বাড়ার দায় সাধারণ মানুষ নেবে না।
ওএফএ/এসএসএইচ/