আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, আপনাদের সন্ত্রাসী নেতাকে বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্ব খুঁজুন। কারণ, আপনারা যাকে নেতা হিসেবে মানেন, সেই তারেক রহমান কোনো রাজনৈতিক নেতা নন। তার মধ্যে দুর্নীতি আর হত্যার রাজনীতি ছাড়া কিছু নেই। তিনি রাজনীতি করে আসেননি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে রাজনীতির নেতৃত্ব দিয়েছেন। সে সন্ত্রাসী নেতা হতে পারে, জনগণের নেতা হতে পারেনি। কাজে ওই নেতাকে বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্ব খুঁজুন। জনগণের কাছে যান। তাহলে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আসতে পারে।

বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত। যখন দেশে সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে, এমনকি এই বাংলাদেশ গণতন্ত্রে আরও দুই ধাপ এগিয়ে গেছে, তখনই আমাদের দেশে গণতন্ত্র হননকারী দল বিএনপি নাকি গণতন্ত্র খুঁজে পাচ্ছে না। তারা এখন গণতন্ত্র খুঁজে বেড়াচ্ছে রাস্তায়। গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ায় গরুর হাটে। গণতন্ত্র নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই বিএনপি-জামায়াত এ দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসকারী দল হিসেবে চিহ্নিত।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। তারপর ক্যান্টনমেন্টে বসে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশের সংবিধানকে পদদলিত করেছিল সেই দল এখন গণতন্ত্র খুঁজে বেড়াচ্ছে।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, এরা সংবিধান মানে না। এরা দেশের আইন মানতে পারে না। তারা কোনো কিছু মানতে চায় না। আমরা সমাবেশ থেকে বিএনপির নেতাদের বলে দিতে চাই, আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। ভোট বর্তমান সরকারের অধীনে হবে। নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন পরিচালনা করবে। আপনারা যদি গণতন্ত্র খোঁজার চেষ্টা করেন, নির্বাচনে অংশ নেন। রাজপথকে উত্তপ্ত করে আপনারা কোনো ফায়দা হাসিল করতে পারবেন না। এ দেশের জনগণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে। শেখ হাসিনা যতদিন সরকারে আছে ততদিন বাংলাদেশে নৈরাজ্য করে কেউ পার পাবে না। অহেতুক রাজপথে গণতন্ত্র না খুঁজে, শাসনতন্ত্রের ভেতরে গণতন্ত্র খুঁজুন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে আসুন, নির্বাচনে আসার জন্য প্রস্তুতি নিন। জনগণের কাছে ক্ষমা চান, অতীতে যে অপকর্ম করেছেন তার জন্য ক্ষমা চান। যে গণহত্যা করেছিলেন তার জন্য ক্ষমা চান।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মহিউদ্দিন জালাল প্রমুখ। শান্তি সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

এমএসআই/এসএসএইচ/