বিএনপির রাজপথে আন্দোলন দেখে আওয়ামী লীগ হতাশ হয়ে আবোল-তাবোল কথা বলা শুরু করে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তা ক্রমান্বয়ে বেগবান হয়ে সরকারকে পদত্যাগে ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করবে ইনশাআল্লাহ।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।

বিএনপির চলমান গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধারে’ আন্দোলনে সবার সহযোগিতা কামনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের জনগণ আজ অতিষ্ঠ, ক্ষুব্ধ! অনিবার্য কারণেই তারা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। দেশের জনগণ এই দুঃসহ বর্তমান এবং অনিবার্য ধ্বংস থেকে বাঁচতে চায়।

চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে সরকার পুলিশি হামলা-মামলার পাশাপাশি শান্তি সমাবেশের নামে প্রতিনিয়ত জনগণকে ভয় দেখাচ্ছে বলে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আবার হামলা আহত, নিহত, নির্যাতিতদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। বিরোধী দলের প্রতিটি কর্মসূচির দিন পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে ক্রমাগত দ্বন্ধ ও সংঘাতের উস্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল সচেতনভাবে এইসব প্ররোচনার ফাঁদে পা না দেওয়ায় সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতারা হতাশ হয়ে আবোল-তাবোল কথা বলে লোক হাসাচ্ছে।

সম্প্রতি সরকারের অনুগত কয়েকটি টিভি চ্যানেলে কয়েক বছর আগে ডিজিটাল কায়দায় বানানো এমন এক ভিডিও প্রচার করেছে বলে দাবি করে মোশাররফ বলেন, যা দেখলে যে কোনো সাধারণ নাগরিকও বুঝবে যে, এটা নোংরা রাজনৈতিক অপপ্রচারের এক বানোয়াট ও নিকৃষ্টতম দৃষ্টান্ত। সরকারি দলের অরাজনৈতিক অপকৌশলের পাশাপাশি আমরা তাদের সহযোগী অনুগত মিডিয়ারও অনৈতিক কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের দিন আমরা ঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করেছিলাম। অথচ তারা আমাদের প্রতিটি কর্মসূচির দিন পাল্টা কর্মসূচি দিয়েই চলেছে। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এইসব ঘটনা বর্জনীয় বলেই তা জনগণ প্রত্যাখ্যান করে নিন্দা জানায়। জনগণ আশা করে সরকারি দল রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে এমন সহিংস তৎপরতা বন্ধ করবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান প্রমুখ।

এএইচআর/এফকে