বাংলাদেশ আইএমএফের ঋণের ফাঁদে পা দিয়েছে : মেনন
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশ আইএমএফের ঋণের ফাঁদে পা দিয়েছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের ভিত্তিতে আমরা যে বড় বড় বাজেট তৈরি করেছিলাম, সেটি আমরা আর চালাতে পারছি না। এজন্য আমাদের ডলার সংকট দেখা দিয়েছে এবং সেটি থেকে বের হতে আইএমএফের সব শর্ত মেনে ঋণ নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, শর্ত পূরণ না হলে তারা ঋণ স্থগিত করবে বা প্রত্যাহার করবে। অর্থাৎ আপনার নাকের মধ্যে বরশি আটকে দিয়েছে। তারা যখন টান দেবে, তখন মাছ ডাঙায় উঠবে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলা কর্মসূচিতে কৃষি প্রশ্ন ও বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবর্তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, আইএমএফের শর্ত অনুসারে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম সমন্বয়ের নামে বাড়ানো হয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়লে সারের দামও বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তখন কৃষি ক্ষেত্রেও ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হবে। এই কঠিন সত্যটি যদি আমরা বুঝতে না পারি, তাহলে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ হওয়ার পথে আমরা আবার হোঁচট খাবো।
বিজ্ঞাপন
রাশেদ খান মেনন বলেন, করোনাকালে যদি কৃষক ফসল উৎপাদন না করত, আমরা খেয়ে পরে বাঁচতে পারতাম না। পৃথিবীর অনেক দেশেই করোনাকালে খাদ্যাভাব কী প্রকট হয়েছে, তা আমরা জানি। সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে পৃথিবীর ১৪ কোটি মানুষ অনাহারে চলে গেছে। সুতরাং কৃষক, কৃষির কথা বাদ দিয়ে কেবলমাত্র কিছু উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমরা সামনে এগুবো, এটা মনে করা ভুল।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ আরও বলেন, কৃষক-কৃষির কথা আমাদের শহরের মানুষের কাছে সেভাবে আকর্ষণ করে না। কিন্তু এটাকে বাদ দিয়ে পথচলার অর্থ কি সেটা আমরা বুঝতে পেরেছি করোনাকালে। যখন আমাদের গ্রামে ফিরে যেতে হয়েছে এবং গ্রামে ফিরে গিয়ে কৃষকের ওপরেই নির্ভর করতে হয়েছে। তাই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে যে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলাম, একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো ভেবেছিলাম, সেখানে কৃষি খাত নিয়ে ভাবনা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান, জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক, সমাজসেবী শামসুল হুদা প্রমুখ।
এমএইচএন/এসএম