ষষ্ঠ ধাপের পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে মহেশখালী থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া আলহাজ্ব মকসুদ মিয়াকে যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী অপরাধী, কুখ্যাত রাজাকারের সন্তান ও মাদক ব্যবসায়ী বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান। আর এ জন্য তার মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। তবে মকসুদ বলছেন, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। 

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন থেকে মকসুদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেহেদী হাসান বলেন, কক্সবাজার জেলার যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় ২২ নম্বরে থাকা যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী, চিহ্নিত রাজাকার হাশেম শিকদারের ছেলে, মাদকব্যবসায়ী, কালোবাজারি, ভূমিদস্যু মকসুদকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি প্রচার হওয়ার পর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মকসুদের পিতার মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ কর্মকাণ্ড, ধর্ষণ, লুটতরাজসহ সকল অপকর্ম সবাই জানে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা চলমানও।

তিনি আরও বলেন, মকসুদের পিতাসহ একই পরিবারের মোট ৯ জন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এজহারভুক্ত আসামি। পারিবারিকভাবে তারা স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির-বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। যার সত্যতা ও তাদের অপকর্ম ওই এলাকার জনসাধারণের কাছ থেকেই তথ্য নিলে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যদি একজন স্বীকৃত রাজাকারের ছেলে ও মাদক ব্যবসায়ীকে দলীয় মনোনয়ন দেয় তবে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর সন্তান এই মকসুদকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এসব বিষয় জানতে চাইলে আলহাজ্ব মকসুদ মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওরা কী বলতে চায় আমি জানি না। এর আগেও আমি নৌকা প্রতীক পেয়েছি। বললে তো তখন বলতে পারতো। এতো দিন পরে কেন বলছে সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমি দল করতে গিয়ে ওয়ান ইলেভেনের সময় জেল খেটেছি। তখন আমার বিরুদ্ধে ২০-২৫টা মামলা হয়েছে। ওই সময় যদি এসব কথা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলতো, তাহলে আমার বিরুদ্ধে মামলা হতো না, জেল খাটতে হতো না। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু করতে চাচ্ছে। 

এমএইচএন/এনএফ