সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত, হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

শনিবার (১১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

এবি পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষ করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, গ্যাস কোম্পানি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন- এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে সরকার জোরজবরদস্তিমূলক অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন করে উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। 

তিনি বলেন, বিশেষ করে রক্ষণাবেক্ষণ বিঘ্নিত হওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে। দুর্ঘটনায় হতাহতদের যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে তা হলো মরুভূমিতে এক ফোটা পানি দেওয়ার সামিল। এগুলো অপর্যাপ্ত, লোক দেখানো ও হাস্যকর। নিহতদের প্রতি পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে, যারা আহত হয়েছে তাদের দুই কোটি টাকা দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ার মূল কারণ সরকার সংশ্লিষ্টদের নিজেদের পকেটে পুরে রেখেছে, তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। সরকার তাদের ওপর খবরদারি করে তাদের স্বাভাবিক কাজ বিঘ্নিত করছে। তারা স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে চাইলে তাদের হুমকি-ধমকি, তাদের অন্যায়ভাবে বদলি করা ও তাদের চাকুরিচ্যুত করার মাধ্যমে দাবিয়ে রাখা হয়। তারা স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারলে জননিরাপত্তা এমন বিঘ্নিত হতো না।

এবি পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক প্রফেসর ডাক্তার মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, দুর্ঘটনা সবদেশেই ঘটে থাকে। যেমনটা আমাদের দেশেও ঘটেছে। বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য কর্তৃপক্ষের সতর্কতা কতটুকু ছিল ও দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ বা সরকার কী ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের দেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে এই সমস্ত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ২০১০ সালে আমরা দেখেছি যে নিমতলীতে আগুন লেগে ১২৪ জন মারা গেছে, ২০১৯ সালে চকবাজারে ৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু গত কয়েক যুগ ধরে বাসযোগ্যহীন হয়ে পড়া পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের গোডাউন ও বিপদজ্জনক প্লাস্টিকের কারখানা সরানোর কোনো উদ্যোগ নেই।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান, এবি যুবপার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম ইলিয়াস আলী, পাটির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম-আহ্বায়ক গাজী নাসির ও কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন শরীফ। 

ওএফএ/কেএ