সরকার বিরোধী কণ্ঠরোধ করতে হিটলারি কায়দায় নির্যাতন করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু চাপাবাজি ও গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। আর এই ক্ষমতাকে ধরে রাখতে ও বিরোধী কণ্ঠকে রোধ করার জন্য গত ১৪ বছর ধরে এই ফ্যাসিস্ট সরকার হিটলারি কায়দায় যত নির্যাতন করতে পারে এই বাংলাদেশে ওই রকমভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন করছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ‘মৃত্যুকূপে ধাবমান বাংলাদেশ-দুই’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গত ১৪ বছরে ছয় শতাধিক মানুষকে গুম করেছে। কত হৃদয়বিদারক, এই গুম হওয়ার পরিবারের ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে পিতার নামের জায়গায় মরহুম কিংবা জীবিত কোনোটাই লিখতে পারে না। যদি মৃত লিখতে হয় তার একটা দলিল থাকতে হবে।

গত ১৪ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে এক লাখের বেশি মিথ্যা মামলা হয়েছে আর আসামি ৩৫ লাখের কাছাকাছি উল্লেখ করেন তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যার নামে একাধিক মিথ্যা মামলা নেই। আজ আমাদের নেত্রী একটি বানোয়াট মিথ্যা মামলায় গৃহবন্দি।

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক বিশ্ব সুষ্ঠু হয়েছে বলে মনে করে না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সারা বিশ্ব এই সরকারকে সবক দিচ্ছে আগামী নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না।

বাংলাদেশ আজ একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছে দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা ছাড়াও আন্তর্জাতিক বিশ্ব আজ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করছে।

স্বাধীনতার পর থেকে কোনো রাজনৈতিক দল ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচি দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সংকট উত্তরণে আমরা ১০ দফা দিয়েছি। তার মধ্যে প্রথমে রয়েছে এই সরকারের পদত্যাগ ও অবৈধ সংসদ বাতিল। এর পক্ষে জনগণ রায় দিয়েছে, তার প্রমাণ এসব দাবিতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলো সফল হওয়া। এরপর আমাদের গণমিছিল, গণঅনশন, পদযাত্রাও সফল হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি কর্মসূচিও সফল হয়েছে।

এসময় সরকার বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে ভয় পায় বলে দাবি করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।

এএইচআর/এসএসএইচ/