মহান স্বাধীনতা দিবসে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। রোববার (২৬ মার্চ) পরিষদ পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এমন অভিশপ্ত কালরাত আর কখনো আসেনি। প্রায় ১ লাখ নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালিকে সেই রাতে শুধু ঢাকা শহরেই হত্যা করা হয়েছিল বলে বিভিন্ন গবেষক বলেছেন। কিন্তু যে নির্মমতা ও সুপরিকল্পিত গণহত্যা চালানো হয়েছে, সে বিষয়ে সেই রাতের কসাই খাদেম রাজার বইতে যা লেখা, তাতে মনে হয়ে এই সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এরপর পৃথিবীর এই নৃশংসতম গণহত্যা অভিযান তারা সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়। ফলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন কমপক্ষে ৩০ লাখ মানুষ, লাখ লাখ মা-বোন নির্যাতিতা হন, নিজ দেশে বাস্তুচ্যুত হন প্রায় ২ লাখ মানুষ। আর শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ১ কোটি মানুষ।

অধ্যাপক আ ব ম ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাকিস্তান ও তার মিত্রদের বাধার কারণে হলোকাস্টের পর পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম ও বীভৎসতম এই গণহত্যাটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনো পাওয়া যায়নি। বিশ্বসভ্যতার মানবিক মানুষগুলোর কাছে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আবেদন- সত্যকে জানুন, বর্বরতাকে ঘৃণা করুন, পাকিস্তানি বাহিনী পরিচালিত এই গণহত্যার স্বীকৃতি দিন। 

বিজ্ঞপ্তিতে এই বর্বরতার পাকিস্তানি হোতাদের ও দেশি সহযোগীদের বিচার দ্রুত সম্পন্নের দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই দাবিগুলোর প্রতি প্রবলভাবে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এমএসআই/জেডএস