বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে, তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, এ সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে। জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তারা পরাজিত হবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও সতর্ক হন, সজাগ হন, যারা আজকে ক্ষমতাকে বেআইনিভাবে জোর করে ধরে রাখার জন্য সব ভিন্নমতকে দমন করছে, হত্যা করছে, গুম করছে, নির্যাতন করছে, কারাগারে নিচ্ছে, তাদের হাত থেকে আপনারাও পার পাবেন না। তাই আজকে সকলের দায়িত্ব ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সম্প্রতি মিটিং হয়েছে সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচনের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। প্রয়োজনে আগাম নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। অর্থাৎ তারা ভিন্ন কৌশল নিতে চায়। আগেভাগে নির্বাচন করে গোটা জাতিকে বোকা বানিয়ে আগের মতো ক্ষমতায় যেতে চায়। এবার জনগণ আপনাদের কোনো কৌশলকেই সফল হতে দেবে না। আপনাদের কোন ফাঁদে জনগণ পা দেবে না, এবার তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আপনাদের সমস্ত চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দেবে।

তিনি আরও বলেন, সবসময় বলে এসেছি এ সরকার গণতন্ত্র মানে না। এ সরকার মানুষের মতামতকে কোনো গুরুত্ব দেয় না; তাদের একমাত্র লক্ষ্য ক্ষমতায় টিকে থাকা। তাদের অধীনে দুটো নির্বাচন করে বন্দুকের নলের মুখে জোর করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। এদেশের মানুষ কখনোই অন্যায়কে মেনে নেয়নি। সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজ যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছেন, তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যদি কেউ সমালোচনা করে তাহলে তাদের গায়ে লাগে। কারণ তারা গণতান্ত্রিক নন। স্বাধীনতার পরে যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনও গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। রক্ষীবাহিনী দিয়ে এদেশের বিরোধী মত দমন করেছে। চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকিগুলা বন্ধ করেছে। এই আওয়ামী লীগের চরিত্র দেশের মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।

অবস্থান কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, মহানগর বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

এএইচআর/এসকেডি