বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, কোনো স্বৈরাচার সরকার আপসে ক্ষমতা ছাড়েনি। আগামী নির্বাচনকে শেখ হাসিনা মুক্ত নির্বাচন হতে হবে। তার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। অতীতের নির্বাচনগুলোতে প্রমাণ হয়েছে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্দলীয় অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতে হতে পারে না।

শনিবার (৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে  এ মানববন্ধনের আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা দল।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য গণআন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে। গণআন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। পাকিস্তান আমলে গণআন্দোলনের মাধ্যমে আইয়ুব খানকে বিদায় করা হয়েছিল। বাংলাদেশেও এরশাদকে গণআন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করা হয়েছে। তাই সময় অতি সন্নিকটে, দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। অনতিবিলম্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় দিয়ে মানুষকে মুক্ত করব।

মোশাররফ বলেন, জাতির স্বার্থে আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। বিএনপি যখন বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছিল তখন এ সরকার তাদের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে বাধা সৃষ্টি করেছে। সব বাধা উপেক্ষা করে প্রতিটি কর্মসূচি জনগণ সফল করেছে।

সরকার মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করে দেশের টাকা বিদেশে প্রচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ১৯৭২-৭৫ সালেও একইভাবে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছিল। এরাই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, পদদলিত করেছে।

সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে পারছে না উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, তাদের সিন্ডিকেটের লোকেরা এ দেশের মানুষের পকেটের টাকা লুটপাট করে বিদেশে প্রচার করার জন্য এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আজকে মধ্যবিত্ত গরিব হয়ে যাচ্ছে। পেট চালাতে পারছে না। গরিব আরও গরিব হচ্ছে। এই অবস্থা বাংলাদেশের মানুষ সবাই ঐক্যবদ্ধ। এই সরকারের হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে।

মানববন্ধনে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির যগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

এএইচআর/এসকেডি