যারা পিওর আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান নোমিনেশনের আশায় তারা অন্য দলে যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনয়ন না দিলে আমি নির্বাচন করব কি না এটা আমি যদি নাটকের ভাষা বলি- সিদ্দিকুর রহমানের ব্লাডটা আওয়ামী লীগের। আমি যদি স্বতন্ত্র নির্বাচন করি তাহলে আমার শরীরের রক্তটাকে ডায়ালাইসিস করতে হবে। এটা কখনো সম্ভব না। ব্লাড সার্কুলেশন চেঞ্জ করলেও সম্ভব না। আমি আমার পরিবারের মুখ থেকে বঙ্গবন্ধু শুনেছি, আমি আমার পরিবারের মুখ থেকে জয় বাংলা শুনেছি। যারা পিওর আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান নমিনেশনের আশায় তারা অন্য দলে যেতে পারে না। একা বাঁচতে চাই না, হাজারটা মানুষকে নিয়ে বাঁচতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা ১৭ আসন একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। ভিআইপি ও সিআইপি মানুষের বসবাস এখানে। শুধু ভিআইপি মানুষ নয় এখানে খেটে খাওয়া মানুষও বাস করে। এখানে দুই ধরনের মানুষ বসবাস করছে। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যাকে দিবে তার এই গুণটা থাকতে হবে যে, দুই ধরনের মানুষকে সমন্বয় করতে হবে। খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে ভিআইপি ও সিআইপি মানুষের সমন্বয় ঘটাতে হবে। এমন একজন মানুষ লাগবে এই আসনে যে মানুষটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। গ্রহণযোগ্য না হলে মানুষটা কোনোভাবে তার সার্ভিসটা করতে পারবে না।

আরও পড়ুন- ফারুকের আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন সিদ্দিক

এ অভিনেতা বলেন, সর্বপ্রথম ঢাকা ১৭ আসন যখন ভাগ হয়ে আসে, তখন হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেব এখানে ছিলেন। পরবর্তীতে কালাম নামে একজন এমপি ছিলেন। পরে প্রয়াত ফারুক ভাই ছিলেন। এ আসনে কাজের তেমন ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে নাই। এরশাদ সাহেব নিজেই অন দ্যা স্পটে আসতে পারত না। আমার বড় ভাই প্রয়াত ফারুক যখন এমপি ছিলেন তখন তিনি বেশিরভাগ সময় অসুস্থ ছিলেন।

নিজেকে যোগ্য মনে করে তিনি বলেন,  এখানে এমন একজন মানুষ লাগবে যিনি গ্রহণযোগ্য। আমি মনে করি সিদ্দিকুর রহমান ক্যারিয়ার লাইফে, প্রফেশনাল লাইফে, রাজনীতির লাইফে যা অর্জন করেছে- সে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। ওই জায়গাটা থেকে আমি ঢাকা ১৭ আসনে নমিনেশন চাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, মানুষের একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে অভিনেতা এবং নির্মাতারা রাজনীতিতে হুট করে এসেছে। সিদ্দিকুর রহমান একজন ছাত্রলীগ করা ছেলে। সেই হিসাবে ২৬ থেকে ২৭ বছর আমার রাজনৈতিক জীবন হয়েছে। আমি যখন অভিনেতা নাট্যকার ও নির্মাতা হলাম তখনো কিন্তু বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শিল্পীদের একত্রিত করে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলেছে।

এমএসআই/এমজে