চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, গণতন্ত্রকে কাফন পরিয়ে তথাকথিত উন্নয়নের গল্প দেশবাসী এখন উপলব্ধি করছে। শুধু নিজেদের ঘনিষ্ঠজনকে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক করার জন্যই কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে কেউ সিঙ্গাপুরে গিয়ে সর্বোচ্চ ধনীর তালিকায় স্থান পেয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে নগরের আগ্রাবাদ বিদ্যুৎ অফিসের সামনে সারাদেশে অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতির প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন। 

দেশের বিদ্যুৎ খাতের সমালোচনা করে আবু সুফিয়ান বলেন, জনগণের পকেট কেটে হাজার হাজার কোটি টাকা আদায় করা হচ্ছে এই খাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জ্যৈষ্ঠের খরতাপে মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এমন সময় বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে মানুষ দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়েছে। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের নজিরবিহীন দুর্নীতির কারণে উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থায় চরম সংকট তৈরি হয়েছে। বর্তমানে দিনে-রাতে মিলিয়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না।

এই বিএনপি নেতা বলেন, মানুষের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায় দুর্নীতির জন্য অপরিকল্পিতভাবে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া এবং ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে ২৫ বছরের অসম চুক্তি আজকের বিদ্যুৎ সংকটের অন্যতম কারণ। বর্তমানে বিদ্যুৎ দুর্নীতির প্রধান খাতে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের জন্য সরকারের গণবিরোধী নীতিই দায়ী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া ও নাজমুল মোস্তফা আমিন।

এমআর/কেএ