ঢিলেঢালাভাবে চলছে হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। এ হরতাল নিয়ে মানুষের মধ্যে চাপা আতংক থাকলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অবশ্য বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন কম চলাচল করতে দেখা গেছে। 

রামপুরা-বাড্ডা সড়কে গণপরিবহন অন্য দিনের চেয়ে কম চলতে দেখা গেছে। ফলে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। আজ (রোববার) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এই সড়কে দেখা গেছে অন্য দিনের তুলনায় অপেক্ষমাণ যাত্রীর সংখ্যা বেশি।  

বাস চালকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, অফিস টাইমে প্রতিদিনই যাত্রী সংখ্যা বেশি থাকে, তাই বাসে ওঠার জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয়। বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও দাবি তাদের। 

বাসের সংখ্যা কম থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে তারা বলেন, অনেক বাস মালিক হয়তো পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন। পরিস্থিতি বুঝে তারা হয়তো বাস নামাবেন।  

রোববার সকাল ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডা বাস স্টপেজে অপেক্ষমাণ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তারা বেশ কিছুক্ষণ ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন, কিন্তু বাস কম আসছে।

গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে কথা হয় সুরাইয়া আক্তার ডেইজি নামে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের একজন চাকরিজীবীর সাথে। তিনি বলেন, প্রতিদিন বাসে চড়ে এখান থেকে খিলক্ষেত অফিসে যাই। কিন্তু আজ বাস কম এই সড়কে। এছাড়া বাসের অপেক্ষা করা যাত্রীর সংখ্যা বেশি। একটি বাস এলেই সবাই দৌড়ে ঠেলাঠেলি করে বাসে উঠছে, আমরা তাই বাসে উঠতে পারছি না। হরতালের কারণে আমাদের মতো মানুষরা অফিস টাইমে ভোগান্তিতে পড়ছেন।

মধ্য বাড্ডা বাস্ট স্টপেজে বাসের অপেক্ষায় অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। শহিদুল হক নামে একজন বলেন,অন্যদিন প্রচুর বাস, প্রচুর যাত্রী এই অফিস টাইমে এখানে থাকেন। কিন্তু আজ যাত্রী বেশি বাস কম। আমি পল্টন মোড়ে অফিস যাবো, কিন্তু বাস কম থাকার কারণে আমাকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে এখানে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। হরতালে বাস ঠিকই চলাচল করছে কিন্তু সংখ্যা তুলনামূলক কম, যে কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। 

বাংলাদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম, হাটহাজারীসহ সারা দেশে হেফাজতের আন্দোলনরতদের ওপর হামলা ও  ৪ জন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ২৮ মার্চ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে হেফাজত ইসলাম। একই ঘটনায় শনিবার (২৭ মার্চ) সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

হেফাজতের হারতালে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন না দিলেও তা যৌক্তিক বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এএসএস/এনএফ