প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও নির্বাচন কমিশনকে ব্যর্থ ঘোষণা করে তা বাতিলের দাবিতে বায়তুল মোকাররম থেকে গণমিছিল শুরু করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

বুধবার (২১ জুন) দুপুর ১২টায় গণমিছিল শুরু হয়। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটের সামনে ইতোমধ্যে দলীয় নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে শুরু করেছেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সূত্রে জানা গেছে, জমায়েত হয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের অভিমুখে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবেন তারা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই গণমিছিল কর্মসূচীর নেতৃত্ব দেবেন। এ কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।

আরও পড়ুন > >> ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল আটকে দিলো পুলিশ

পুলিশ বলছে কর্মদিবসে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কর্মসূচি বেশিদূর যেতে দেওয়া হবে না। তবে নাইটিঙ্গেল মোড় অথবা মালিবাগের মধ্যে তাদের আসতে দেওয়া হবে।

বুধবার সকালে বায়তুল মোকাররম ও পল্টন মোড় এলাকা সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির শঙ্কায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের জলকামানসহ এপিসি যান। মোতায়েনে দেখা গেছে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশও।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া উপ-কমিটির সহকারী সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির জানান, পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে দলীয় নেতা-কর্মীরা দলে দলে যোগদান করছেন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে ডাকা এ কর্মসূচি পালন করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

আরও পড়ুন >>> অসুস্থ সিইসি-দলীয় সরকারে নয়, নির্বাচন হবে জাতীয় সরকারের অধীনে

ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন না হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মদিবসে ডাকা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পারেন সেজন্য তাদের বেশি দূর যেতে দেওয়া হবে না। রাজধানীর মালিবাগ কিংবা নাইটিঙ্গেল মোড়ে তাদের আটকে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের।

জেইউ/এফকে