গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকার সেন্টমার্টিন ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছে। তারা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে সবার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও খেলায় মত্ত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন। দেশব্যাপী যখন সরকার পতনের আন্দোলন তীব্রতর হচ্ছে এবং সরকারের আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রায় শেষ ঠিক তখনই সেন্টমার্টিন ইস্যু সামনে এলো বলেও উল্লেখ করেন তারা। 

গণসংহতি আন্দোলনের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সেন্টমার্টিন ইস্যুতে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কাউকে লিজ দিলে ক্ষমতায় থাকতে অসুবিধা নেই। কিন্তু আমার দ্বারা সেটা হবে না। এর আগে সরকারি জোটের আরও দুজন নেতা যথাক্রমে রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুও সেন্টমার্টিন নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে তারা এই বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।

তারা আরও বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ পদে আসীন থেকে প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের অভিযোগ দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক। যদি সত্যি সত্যিই কেউ সেন্টমার্টিন চেয়ে থাকে তাহলে সেটা সরকারের স্পষ্ট করে বলা দরকার, জনগণকে জানানো দরকার কে কবে চেয়েছে। আগেও ভারতে গ্যাস রপ্তানি নিয়ে এ ধরনের বক্তব্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে দিতে দেখেছি যা পরবর্তী সময়ে প্রমাণিত হয়নি। ফলে এই বক্তব্যকেও সেই একই ধারায় বিবেচনা করা যেতে পারে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা।

এসব পাতা ফাঁদে জনগণের আন্দোলন পা দেবে না উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সব বিভ্রান্তিকে পায়ে ঠেলে এই দেশের জনগণ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন করার মধ্য দিয়ে সবার ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করে সত্যিকার সার্বভৌম বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাবে।

এএইচআর/কেএ