জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, সরকারের অপরিণামদর্শীতায় বাংলাদেশ ভূরাজনীতিতে বড় সংকটে পড়েছে। সরকার কোনো রকম কথাবার্তা ছাড়া জনগণকে জুজুর ভয় দেখাচ্ছে। সরকার বলেছে আমাদের সীমানার কোনো অংশ কাউকে দেব না। দেশের মানুষ তো কাউকে বলেনি সীমানা দিয়ে দিতে। এমনকি সরকারের কোনো অধিকার নেই জনগণের সীমানা কাউকে দেওয়ার।

রোববার (২৫ জুন) প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র আজ স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার শৃঙ্খলে আবদ্ধ। এক মন্ত্রী আরেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলে। একজন বলে পক্ষে আরেকজন বলে বিপক্ষে। এই সরকার মিথ্যাবাদী, জনগণ তাদের আর বিশ্বাস করে না। অন্তর থেকে মানুষ তাদের বিদায় করে দিয়েছে, এখন তাদের দাফন করার সময়। যারা স্বৈরাচারী সরকারকে সহযোগিতা করছে তাদের বিদেশে পালাতে দেওয়া যাবে না।তাদের বিচার করতে হবে। গতকালের বিভিন্ন পত্রিকায় দেখলাম সুইস ব্যাংক থেকে ১০ হাজার কোটি ডলার প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশিরা। তারা বুঝতে পেরেছে এই পাচার করা টাকা তারা ভোগ করতে পারবে না। তাই তারা টাকা এদিক-ওদিক করার চেষ্টা করছে।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ, নব দলের অংশগ্রহণ ও মানবাধিকার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে দেশে চরম অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবে। দেশের লাখ লাখ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছিলেন, তাদের নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। তার পরিবর্তে সরকার দলীয় শাসন কায়েম করেছে। জনগণ যেন ক্ষমতার মালিক না হতে পারে তার ব্যবস্থাও সরকার করছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা রাষ্ট্রপতি ও জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে তদন্ত না করে যেন কোনো সদস্য শান্তিরক্ষা মিশনে না নেওয়া হয়। বাংলাদেশের পরিস্থিতি আজকে ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন। সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে হলেও ক্ষমতায় থাকতে চায়। তাদের কাছে ক্ষমতার চেয়ে বড় কিছু আর নেই। দেশ, জনগণ, ভৌগোলিক অবস্থা, দেশের দরিদ্র মানুষের গুরুত্ব তাদের কাছে নেই। 

সরকার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণ, মুক্তিযোদ্ধা ও ভবিষ্যতের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে বিদায় করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তা না হলে জাতির কাছে আমাদের জবাবদিহিতা করতে হবে।

ওএফএ/জেডএস