সরকারের পতন ঠেকাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়ার পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সরকার দেশকে এক ভয়ানক গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়ার মতো ঘৃণ্য চক্রান্ত জনগণ রুখে দেবে। এবার কোনো অপচেষ্টায় সরকারের পতনকে ঠেকানো যাবে না।

শনিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, এবারও জনগণকে বঞ্চিত করে একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন করার জন্য সরকার মনুষ্যত্বহীন ফন্দি এঁটে চলেছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সূত্র থেকে জেনেছি, সরকার ২০১৩-২০১৪ সালে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় সাজা দিতে জেলা ও মহানগরগুলোর বিচারকদের নির্দেশ দেয়। সাজা দেওয়ার কাজটি সম্পন্ন করা হবে আগামী দুই মাসের মধ্যেই। এ বিষয়ে বিচারকদের সরকারি সিদ্ধান্ত পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলার পুলিশ সুপারদের।

জনগণকে পরাজিত করার জন্য পর্দার আড়ালে চলছে নানা শলাপরামর্শ ও গোপন বৈঠক বলে দাবি করেন রিজভী।

সাক্ষীরা পুলিশের হুমকির ভয়ে সাক্ষী দিতে আসেন বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এরা এমনই গরিব মানুষ যে, বিএনপির নেতাকর্মীদের নামও শোনেননি ও চেহারা পর্যন্ত দেখেননি। এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করারও ভয় দেখানো হয়। এদের অনেকেই আমাদের বলেছেন, ‘আমরা যদি সাক্ষী না দেই, তাহলে আমাদের চাকরি থাকবে না’।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

এএইচআর/এফকে