ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনের সড়কে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ দলের ৫৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয় বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ওই থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।

এ দুই মামলায় ডা. শাহাদাত ছাড়াও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনিসহ দলের ৫৭ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ মার্চ) বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাসিমন ভবনের সামনের সড়কে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচ পুলিশসহ ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়।

জানা গেছে, সমাবেশে যোগ দিতে আসা একটি মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপরই বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। এ সময় আরও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে একটি মোটরসাইকেল ও দোকানের একটি টেবিলে আগুন দেওয়া হয়।

সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর বিএনপি কার্যালয়ে সাঁড়াশি অভিযানে গিয়ে ১৫ জনকে আটক করে পুলিশ। সোমবার বিকেল ৪টা থেকে উপ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ নাসিমন ভবনে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করে। পরে পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও তার পিএ মারুফ হোসেনকে আটক করে পুলিশ। এরপর ডা. শাহাদাতকে চকবাজার থানায় এক বিএনপি নেত্রীর করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তাকে এখন কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।

সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বলেছিলেন, পরিকল্পিতভাবে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি পুলিশের ওপর হামলা করেছে, বোমাবাজি করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে। ঘটনার পর দলীয় কার্যালয় থেকে মহিলা দলের নেত্রী মনিসহ ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

কেএম/এসএসএইচ