‘তারুণ্যের সমাবেশ’ ঘিরে সতর্ক পুলিশ, রয়েছে জলকামান
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে তারুণের সমাবেশের আয়োজন করেছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যে এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসা শুরু করেছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের গেট ও এর আশেপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চারপাশ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সমাবেশে তরুণদের উজ্জীবিত করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিন দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। শাহবাগ থানার সামনে রয়েছে প্রিজন ভ্যান, আর্মড ভ্যান এবং জলকামানের গাড়ি। টিএসসি অংশেও বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান করতে দেখা গেছে। এছাড়া সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরাও সতর্কাবস্থায় রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে নিরাপত্তার স্বার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঢোকার প্রত্যেকটি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গেটে অতিরিক্ত সর্তকতায় জন্য আনসার সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশও মোতায়েন করা আছে। সমাবেশে আগতদের শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সামনের গেট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ দুটি ছাড়া উদ্যানের প্রত্যেকটি গেট বন্ধ।
এদিকে দুপুরের পর থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছে নেতাকর্মীরা। তারা দলীয় বিভিন্নরকম স্লোগান দিতে দিতে উদ্যানে প্রবেশ করছেন।
‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ স্লোগানে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে সফল করতে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন রকম প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। তারা সাধারণ মানুষজনকেও সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবং নতুন ভোটার আর তরুণদের কাছে টানতে জুন মাসের প্রথমদিকে বিএনপি ‘তারুণ্য সমাবেশে’র ঘোষণা দেয়। দলটির অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে এ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয় দলটির নীতি নির্ধারণী ফোরামে। ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম (১৪ জুন), বগুড়া (১৯ জুন), বরিশাল (২৪ জুন), সিলেট (৯ জুলাই) ও খুলনায় (১৭ জুলাই) তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২২ জুলাই ঢাকায় সবশেষ সমাবেশ করছে। সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি শেষ বলে জানিয়েছে দলটির নেতারা।
এমএইচএন/এসএম