বিদেশিরা সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেবে, এটা আশা করার কারণ নেই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, বিদেশি শক্তি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেবে, এটা আশা করার কোনো কারণ নেই। যুক্তরাষ্ট্র আসছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আসছে তাদের স্বার্থে। তারা তাদের স্বার্থ আদায়ের চিন্তা থেকে একটি ফরমুলা দেবে। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যেতে চাইবে না।
শনিবার (২২ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এমাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মারক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
কবি আবদুল হাই শিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এমাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ছেলে জিয়া হাসান ইবনে আহমদ, ঢাবির অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব শেখ আবদুর রশীদ ও সালেহ মাহমুদ, আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন।
আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে চিন্তা করা দরকার। গণতন্ত্রের কথা সবাই জোর দিয়ে বলছেন। কিন্তু গণতন্ত্রের চিন্তাভাবনা নেই। রাজনীতির অবস্থা উন্নত করা দরকার। এটা কীভাবে করা যায় সে চিন্তা করতে হবে। রাজনীতির অবস্থা যতটা অনুভব করা হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি খারাপ।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার সময় অনেক বাধার মুখোমুখি হয়েছিল। হিন্দুরা এটিকে মক্কা বিশ্ববিদ্যালয় বলেছেন। তবে ব্রিটিশ সময়ে পিজে হার্টগের নেতৃত্বে শিক্ষকরা প্রাণপণে উচ্চমান বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। সেক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছিল। এখন আর সেই চেষ্টা নেই।
ঢাবির সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ উপাচার্য থাকাকালে স্বাভাবিক অবস্থা ছিল না। ১৯৭২ থেকে দেশের অবস্থা অনেকটাই বিপর্যস্ত ছিল। তবে তিনি ক্যাম্পাসের কোনো ঘটনা পুলিশ দিয়ে দমনের দিকে যাননি। এখন তো গুরুত্বপূর্ণ কিছু হলে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন। বহু বছর পর ডাকসু নির্বাচন হলো, নির্বাচন শেখ হাসিনা পরিচালনা করেছেন— এটা পত্রিকা দেখলেই বোঝা যায়।
তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ অনেক ঘটনায় ছাত্রদলেরও নিন্দা করেছেন। তিনি সব দলকে সঙ্গে নিয়ে চলেছেন। কোনো লোকের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করেননি। তাই তার ব্যাপারে কেউ অভিযোগ তুলতে পারে না। এখন তো টিকে থাকার জন্য সরকার কয়েকজন শিক্ষককে টেনে নেন।
সভায় আরও আলোচনা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এম ইয়াকুব আলী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইফতেখারুল আলম, গবেষক মনোয়ার শামসী, আবুল কাশেম হায়দার।
ওএফএ/এসএসএইচ/