করোনা : বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত হচ্ছে
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ১ এপ্রিল থেকে সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করতে যাচ্ছে বিএনপি। তবে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন ইস্যু ভিত্তিক কার্যক্রম চালু থাকবে।
বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে ঘণ্টাব্যাপী ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা যায় কি না সে বিষয়ে বৈঠকে মতামত দেন নেতারা। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, আবারও দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ (৩১ মার্চ) অথবা আগামীকাল গণমাধ্যমে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপির নেতারা মনে করেন হেফাজত ইস্যুতে পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। না হলে হেফাজতের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১৭ জন মানুষের প্রাণ যেত না। এছাড়া বৈঠকে করোনা নিয়ে সরকার এখনও যে উদাসীন সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির আরেক নেতা বলেন, হেফাজতের কর্মসূচির পর সারাদেশে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে বলে বিএনপির কাছে তথ্য আছে। বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেও বিভিন্ন জেলায় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে। সভায় এসব ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সভায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
গত বছরও করোনা পরিস্থিতিতে বিএনপি তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করেছিল।
এএইচআর/এইচকে