বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। কমিউনিস্ট পার্টির নীতি আর বিএনপির নীতি এক নয়। বিএনপির কথা হলো, তুমি কেন একা লুটপাট করবা, আমাকেও লুটপাটের ভাগ দিতে হবে। তারা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে কিন্তু আওয়ামী লীগের লুটপাট-নীতির বিরোধিতা করে না। তারা হলো দুই নম্বরি বিরোধী দল। আর কমিউনিস্ট পার্টি আওয়ামী গদির বিরোধিতা করে আবার আওয়ামী লীগের লুটপাট-নীতিরও বিরোধিতা করে। আমরা হলাম এক নম্বর বিরোধী দল।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ‌‘সংসদ ভেঙে দেওয়া, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন, দুর্নীতি-লুটপাট-অর্থপাচার-বাজার সিন্ডিকেটের হোতাদের গ্রেপ্তার ও বিচার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য গণদাবি’তে আয়োজিত এক সমাবেশ এসব কথা বলেন তিনি।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া উচিত। না হলে তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। দেশ আজকে ভয়াবহ যে অবস্থার মধ্যে এসে দাঁড়িয়েছে সেটার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। সেটার জন্য শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী।

তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম বড়লোকের সম্পদ যেন গরিবের মধ্যে যায় তার জন্য। কিন্তু আজকে গরিবের সম্পদ লুট করে বড় লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো অধিকার থাকতে পারে না।

সিপিবির এই সাবেক সভাপতি আরও বলেন, আপনারা খেয়াল করে দেখবেন শ্রমিকের জন্য কোনো ওয়েজ কমিশন হয় না। কিন্তু অফিসারদের জন্য বেতন কমিশন ঠিকই হয়। তাদের বেতন বছর বছর বেড়ে যায়। আজকের সমস্ত অফিসারদের ঘুষ দিয়ে হাত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সচিবদের দুই/আড়াই কোটি টাকার বিএমডাব্লিউ গাড়ি কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ, কলা গাছ ফুলে বটগাছ।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামসেদ আনোয়ার তপন ও সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার প্রমুখ।

এমএইচএন/এমএসি/এসকেডি