সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম

আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম বলেছেন, এদেশের ছাত্ররাজনীতিতে অপসংস্কৃতি ও সন্ত্রাসবাদ তৈরির জনক ছিলেন জিয়াউর রহমান। এ ধারা পরবর্তী সময়ে খালেদা জিয়া এবং এরপর তারেক জিয়া অব্যাহত রেখেছেন।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকা কলেজের শহিদ আ.ন.ম. নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম এবং ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 

আব্দুল আউয়াল শামীম বলেন, কোমলমতি ছাত্রদের হাতে অস্ত্র ও টাকা তুলে দিয়ে ধ্বংস করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। 

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের গোপন যোগসূত্র ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়া খুনিদের বলেছিলেন ‘গো অ্যাহেড’। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না— এ কালো আইনও তৈরি করেছিলেন। অথচ তখন দ্বিতীয় সেনাপ্রধান হিসেবে তার দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও দেশকে রক্ষা করা। জিয়া তা করেননি বরং পরবর্তী সময়ে নিজেই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে রাষ্ট্রপতি বনে গেলেন। জিয়া বলেছিলেন, সৈনিক হিসেবে এসেছি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে ব্যারাকে ফিরে যাব। কিন্তু তিনি ব্যারাকে ফিরে যাননি বরং নিজেকে বৈধ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করকে হ্যাঁ ভোট না ভোট করে সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছিলেন। 

তিনি আরও বলেন, অনেকেই বলেন জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমি তাদের প্রশ্ন করতে চাই একটি যুদ্ধও কি জিয়াউর রহমান করেছেন? অন্যান্য ফিল্ড কমান্ডারদের মতো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন? করেননি। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না জিয়াউর রহমান একটি যুদ্ধ গিয়েছেন। বরং পাকিস্তানিদের জন্য যে অস্ত্র চট্টগ্রাম এসেছিল সেটি খালাস করার জন্য মেজর দিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের লুকায়িত এজেন্ট। মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণ করে নিজেকে রক্ষা করেছিলেন। সময় মতো আসল চেহারা দেখিয়ে দিয়েছেন।

এসময় তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধু পুত্র শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের নানান কর্মকাণ্ডের স্মৃতিচারণ করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.টি.এম. মইনুল হোসেন, ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ পালন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক পুরঞ্জয় বিশ্বাস।

আরএইচটি/কেএ