হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক

নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়া হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্ট থেকে বের হওয়ার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি নিরাপদে আছেন জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি নিরাপদে আছি, পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক! কেউ কোনো গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না!!’

মামুনুল হকের ফেসবুক স্ট্যাটাস

শনিবার (৩ এপ্রিল) রাত ৮টা ৫১ মিনিটে ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে মামুনুল হক এ স্ট্যাটাস দেন। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রয়েল রিসোর্টে হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ মামুনুল হককে ছাড়িয়ে নেন কর্মীরা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ (শনিবার) বিকেল সোয়া তিনটার দিকে সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন মামুনুল হক।

মামুনুল হক অবরুদ্ধ এমন খবর শুনে সেখানে সন্ধ্যার পর জড়ো হতে থাকেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে রয়েল রিসোর্টে হামলা চালান। এতে রিসোর্টের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, এসিল্যান্ড গোলাম মোস্তফা মুন্না, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) তবিদুর রহমানসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা। একপর্যায়ে মাওলানা মামুনুল হককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান বিক্ষুব্ধ হেফাজতের কর্মীরা। পরে মিছিল করেন তারা। উদ্ধার করে মামুনুলকে পাশের একটি মসজিদে নিয়ে যান।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক বলেছেন, অবসরকালীন সময় কাটাতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছেন। ওই নারীকে দুই বছর আগে বিয়ে করেছেন তিনি। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাকে তর্কবিতর্ক করতে দেখা যায়।

মামুনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, মাস্তান প্রকৃতির লোকেরা আমাকে আমার ওয়াইফসহ নাজেহাল করেছে। আমাদের আক্রমণ করেছে। অপমান ও হেনস্তা করেছে। এ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব। 

তিনি বলেন, শনিবার দুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে যাই। জাদুঘর ঘুরে দেখে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এখানে (রিসোর্টে) আসি। এতে দোষের কিছু নেই। আমি কি আমার স্ত্রী নিয়ে এখানে আসতে পারি না?। এ কেমন কথা? 

এইচকে